ঢাকাবুধবার , ৬ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

রেকর্ড উচ্চতায় সোনার দাম, বাড়ছে যেসব কারণে

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ৬, ২০২৪ ৫:৫৯ অপরাহ্ণ । ২০ জন

সোনার দাম গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। , মূলত দুটি কারণে সোনার দাম বাড়ছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ মুদ্রানীতির রাশ আলগা করবে—এমন খবর অনেক দিন ধরে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সেই সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে মানুষ আবারও সোনার দিকে ঝুঁকছে।

এশিয়ার বাজারে সোনার চাহিদা বেশি এবং এখন তা আরও বাড়ছে। অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরাপদ রিজার্ভ হিসেবে সোনা কিনছে। গত আট মাসে তারা যত সোনা বিক্রি করেছে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণে কিনেছে। গতকাল মঙ্গলবার সোনার স্পট মূল্য শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৪১ ডলারে উঠে যায়; এরপর তা আবার ২ হাজার ১৩০ ডলারে নেমে আসে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সোনার দাম এযাবৎকালের সর্বোচ্চ আউন্সপ্রতি ২ হাজার ১৫০ ডলারে উঠেছিল।

এদিকে সোনার দামর আরেকটি বড় জায়গা হচ্ছে সোনা–সমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে ইটিএফ ফান্ডের সূচক কমছে। বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণ-সমর্থিত ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ডের সূচক চলতি বছর ৭ শতাংশ কমেছে।

সোনার সঙ্গে স্পট মার্কেটে রুপার দামও বাড়ছে। সোমবার থেকে এই ধারা শুরু হয়েছে এবং সর্বশেষ রুপার দাম ছিল আউন্সপ্রতি ২৩ দশমিক ৯৪ ডলার, ২৮ ডিসেম্বরের পর যা সর্বোচ্চ।

যেকোনো পণ্যের দাম ওঠানামা নির্ভর করে চাহিদা ও জোগানের ওপর। তবে সোনার ক্ষেত্রে যোগ হয় ভোক্তার আচরণ। কেউ যদি মনে করেন, সামনে মূল্যস্ফীতি বাড়বে, তাহলে অর্থের ওপর ভরসা কমে যায়; কারণ মূল্যস্ফীতি বাড়লে অর্থের মূল্যমান হ্রাস পায়। তখন মনে করা হয়, এমন কিছু পণ্য কিনে রাখতে হবে, যার ক্ষয় নেই।

এমন নয় যে বছর বছর সোনার খনি থেকে সোনার সরবরাহ আসতেই থাকে, তাই এখানে চাহিদা-জোগানের সম্পর্কের তুলনায় ভোক্তার আচরণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন মূল্যস্ফীতির হার উন্নত দেশগুলোতে কমতির দিকে থাকলেও নীতি সুদহার হ্রাসের সম্ভাবনা সোনার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।