ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র বিতরণ করছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অক্টোবর ১২, ২০২৩ ১০:৪৮ অপরাহ্ণ । ৫০ জন

বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে অস্ত্র বিতরণ করছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার দেশটির লেবানন সীমান্তের কাছাকাছি উত্তর ইসরাইলের আয়েলেট হাশাহার কিবুতজে অস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক সচিত্র প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

ইসরাইলে সাধাণরত বন্দুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এমনকি বেসামরিক নাগরিকদের সাধাণরত আগ্নেয়াস্ত্র বহনের  অনুমতি দেওয়া হয় না। তবে চলতি সপ্তাহে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরের কিছু কিছু বাসিন্দাকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বুধবার বলেছেন, দক্ষিণের শহর সেরোতে প্রায় ১০ হাজার মানুষ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। আলজাজিরা।

উত্তর ইসরাইলের সেনাদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে লেবানন সীমান্তের শহরগুলোতে সংরক্ষিত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার এ কথা জানিয়েছে,  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফ জানায়, ‘আবাসিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত বাহিনী শহরগুলোতে বিভিন্ন প্রতিরক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। যার মধ্যে টহল, অ্যামবুস ও রাস্তা অবরোধ অন্তর্ভুক্ত আছে।

গাজাবাসীর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে লিফলেট বিতরণ করে গাজাবাসীকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। যদিও প্রকৃতপক্ষে অঞ্চলটিতে কোনো আশ্রয়কেন্দ্রের অস্তিত্ব নেই। ইসরাইলের বোমা হামলা থেকে বাঁচতে স্কুল ও হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে।

বৃহস্পতিবার ফেলা লিফলেটে গাজা উপত্যকার বেত লাহিয়ার বাসিন্দাদের উদ্দেশে করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলে, ‘সাধারণ জনগণের আশপাশে থাকা হামাসের সদস্যদের নির্মূল করার চেষ্টা চলছে।’ ‘জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে’  বাড়িঘর খালি করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।

লিফলেটে আরও বলা হয়, হামাস অথবা তাদের স্থাপনার কাছাকাছি অবস্থান করা সাধারণ জনগণের জন্য জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াবে। কারণ ইসরাইলের হামলায় হামাস সদস্যের যেকোনো বাড়িকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে। আর ইসরাইলের সেনাবাহিনীর নির্দেশনা মেনে চললে কাউকে বিপদের মুখোমুখি হতে হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে লিফলেটে।

এর আগে শনিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যেসব বিপজ্জনক স্থানে যুদ্ধ চলছে সেসব স্থান থেকে সরে যেতে সতর্ক করেছেন গাজাবাসীকে।

এ বিষয়ে একজন ফিলিস্তিনি লেখক ও  আলজাজিরার সাবেক গাজা সংবাদদাতা লেইলা এল হাদ্দাদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের লুকানোর জায়গা আছে এমন ধারণা সম্পূর্ণ হাস্যকর। বিবিসির নিউজডে প্রোগ্রামে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

এল হাদ্দাদ আরও বলেন, ‘গাজায় কোনো নিরাপদ এলাকা নেই। ‘আমরা যা শুনি তা একটি ধোঁয়শা মাত্র।’ গাজায় কোনো বোমা শেল্টার নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।