ঢাকাবুধবার , ১২ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের দিনক্ষণ জানাতে নারাজ ন্যাটোর নেতারা

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ১২, ২০২৩ ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ । ৬২ জন
সংগৃহীত : ছবি

ইউক্রেনকে সদস্য করার বিষয়ে সময়সীমার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর নেতারা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এক বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা জানিয়েছে, দ্রুত অগ্রসর হওয়া দরকার তা অনস্বীকার্য, তবে এর জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বলা হচ্ছে না। খবর বিবিসির।

ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা বলেছেন, যখন ‘জোটের সবাই একমত হবেন এবং শর্তসমূহ’ পূরণ হবে তখনই ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে।

এর আগে টুইটারে কড়া ভাষায় দেয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনকে কখন আমন্ত্রণ জানানো হবে, কখন ইউক্রেন জোটের সদস্য হবে, এসবের কোনো সময়সীমা নির্ধারণ না করাটা নজিরবিহীন এবং অযৌক্তিক। কার্যত মনে হচ্ছে ইউক্রেনকে জোটে আমন্ত্রণ জানানো বা সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতিই নেই।’

এদিকে সম্মেলনের প্রথম দিন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোর সদস্য করা হবে এবং সদস্য হওয়ার জন্য কিছু শর্ত বাদ দেয়া হবে। ফলে দুই ধাপের বদলে ইউক্রেনকে মাত্র একটি ধাপ পার করতে হবে।’

স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, আপনি যদি সবার সদস্যপদের প্রক্রিয়ার দিকে তাকান তাহলে দেখবেন সেটা সময়সীমার ভিত্তিতে হয়নি। হয়েছে শর্তপূরণের ভিত্তিতে, যেটি সবসময়ই হয়ে থাকে।

ন্যাটো ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে জোটের সদস্য করে নিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু সেটি কখন এবং কীভাবে করা হবে সেটি বলেনি।

যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেয়া না হলেও সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে ন্যাটো। জোটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেছেন, যুদ্ধে যদি ইউক্রেন জয়ী হয় সেক্ষেত্রে দেশটির অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক পুনর্গঠনেও সহায়তা দেবে ন্যাটো এবং ইইউ।

ঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাশিয়ার নাকের ডগা লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে শুরু হয়েছে ন্যাটোর বার্ষিক সম্মেলন। দুদিনব্যাপী সম্মেলনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধসহ বেশ কিছু ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

ন্যাটোয় যোগ দেয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। পশ্চিমা এ সামরিক জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের কারণেই গত বছরের শুরুতে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। কিয়েভের প্রতিরোধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়। গত ১৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে তা অব্যাহত রয়েছে।