ঢাকাবুধবার , ১৬ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

তোশাখানা মামলায় বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগস্ট ১৬, ২০২৩ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ । ৬৭ জন
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে তোশাখানা মামলার বিষয়ে জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিমের (জেআইটি) সামনে হাজির হন। তাকে পুলিশ ২০ মিনিট ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

মঙ্গলবার ইসলামাবাদের ডিআইজি অফিসে পৌঁছেছিলেন যেখানে তোশাখানা মামলার তদন্তকারী টিম বুশরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার কারাগারে বুশরা বিবি ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেন। তারা প্রায় দুই ঘণ্টা কথা বলেন। তিনি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর ডিআইজি অফিসে যান।

সূত্র থেকে জানা যায়, বুশরা বিবিকে জেআইটিতে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা আদালত।

জেআইটির সামনে উপস্থিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বুশরা। তিনি বলেন, পিটিআই তাকে প্রায় ২০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করে।

তিনি আরও বলেন, জেআইটি তার কাছ ২০টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিল। তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

তোশাখানা মামলা কী

তোশাখানা মানে সরকারি কোষাগার। পাকিস্তানে বিদেশি নেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যে কোনো উপহার সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে যে, ইমরান খান তার প্রাপ্তা উপহার সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন। এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তাকে তোশাখানা মামলা বলা হচ্ছে। তোশাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, সাংবিধানিক পদে বসা প্রত্যেক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এ নিয়ম প্রযোজ্য।

পাকিস্তানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ২০১৮ সালে ইমরান খান যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি কোনো নিয়ম মানেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইমরান খানের যুক্তি ছিল যে, এটি করলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলবে।

কিন্তু পরে ক্ষমতাসীন জোটের কিছু আইনপ্রণেতা জাতীয় পরিষদের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ইমরান খানকে অভিযুক্ত করা হয় যে, তার প্রাপ্ত উপহারের বিবরণ তোশাখানায় হস্তান্তর করা হয়নি। সেগুলো বিক্রি করে অর্থ আয় করেছেন। পরে পাকিস্তানের স্পিকার তা প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠিয়ে দেন।

এর পর গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ইমরান খান নোটিশ পান। তিনি এই নোটিশের জবাব দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তিনি যে চারটি উপহার পেয়েছিলেন তা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। উপহারের মধ্যে একটি গ্রাফ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, বেশ কয়েকটি ধাতব জিনিসপত্র এবং একটি আংটি ছিল।