ঢাকামঙ্গলবার , ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

কিশোরগঞ্জে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা

স্টাফ রিপোর্টার
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ । ৬৫ জন

হিন্দু ধর্মাবল্বমীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এই পুজা উৎসবকে ঘিরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ  উপজেলা ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা গুলোতে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। যেন দম ফেলার কোন সময় নেই প্রতিমা তৈরির কারিগর দের। সঠিক সময়ে প্রতিমা ডেলিভারি দেওয়ার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছে তারা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাগুড়া ইউনিয়নের শিংগের গাড়ি বাজার  সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গুলোতে ঘুরে দেখা যায় সার্বজনীন দূর্গামন্দির গুলোতে খুব সুন্দর ভাবে সুদক্ষ্য কারীগর দ্বারা প্রতিমা তৈরি করছে। পূজা উৎসবকে ঘিরে উপজেলার সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ত।
দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। শুধু তাই নয় নর-নারী, তরুণ-তরুণী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা দেবীর আশীর্বাদ পাওয়ার আশায় দেবীর আগমনের প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে। প্রতিমা তৈরির কারিগর সুবাশ চন্দ্র রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিমা তৈরি করতে প্রায় ১০-১২ দিনের মত লাগে।
আর নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে মন্দির কমিটির কাছে আমরা প্রতিমা বুঝিয়ে দেব। আরও বলেন বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরি করে দিয়ে মজুরী পাই ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত। কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় হরিমন্দিরে  সর্বজনীন দূর্গা মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেলে তারা বলেন এ এলাকায় আমাদের মন্দিরে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় এই মন্দিরে খুবই ভালো উৎসব হয় এবং দূর দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দ আসেন ও অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো হয় এ মন্দির। আমাদের এখানে আনন্দোৎসব ভালোয় হয়।
অপর দিকে উওর কুটিপাড়া ডক্টর যোগেন্দ্রনাথ  সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরে  সভাপতি বাবু কৃষ্ণ কুমার রায় জানায়, আমাদের এ মন্দিরে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই মন্দিরে দূর দূরান্ত থেকে ভক্তবৃন্দুগন আসেন ও অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো হয় এ মন্দির। আরও জানায়, মন্দিরে নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলার মধ্যে চার উপজেলার ভক্তবৃন্দুগন বেশির ভাগেই আসেন।
এখন শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে নানা আয়োজনে ব্যস্ত অনেকেই।এ বিষয়ে বড়ভিটা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ফরিং বলেন, আমাদের আনসার ভিডিপির সদস্য ও সদস্যরা সার্বিক ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন।