ঢাকাশনিবার , ১০ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক
জুন ১০, ২০২৩ ৩:৩৭ অপরাহ্ণ । ৬০ জন
সংগৃহীত:ছবি

কাঁঠাল আমাদের সবার পছন্দের একটি ফল। কাঁঠালের মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণাগুণ। শুধু কাঁঠালই নয়, কাঁঠালের বিচিও খাওয়া হয়। এটিও উপকারী। সুস্বাদু ও সুমিষ্ট এই ফল নানাভাবে আমাদের উপকার করে থাকে। তবে কাঁঠালের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা খুব একটা জানি না। রসালো এই ফলে কী উপকারিতা লুকিয়ে আছে, চলুন জেনে নেয়া যাক-

* কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। প্রাকৃতিকভাবে মানবদেহে ভিটামিন-সি তৈরি হয় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করে এই ভিটামিন-সি।

* কাঁঠালে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রির‌্যাডিকেলস থেকে রক্ষা করে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও আমাদেরকে সর্দি-কাশি রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
* কাঁঠালে রয়েছে খনিজ উপাদান আয়রন, যা দেহের রক্তাল্পতা দূর করে।
* কাঁঠালে আছে বিপুল পরিমাণ খনিজ উপাদান ম্যাঙ্গানিজ, যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* কাঁঠালে আছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস। যা আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ এবং বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
* টেনশন এবং নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
* কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ সামান্য। এই ফল খাওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা কম।
* কাঁঠাল পটাশিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস। ১০০ গ্রাম কাঁঠালে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩০৩ মিলিগ্রাম। এই পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এ জন্য কাঁঠাল উচ্চ রক্তচাপে উপশম করে।
* কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে যা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে।
* বদহজম রোধ করে কাঁঠাল। এই ফল আঁশালো হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
* এই বৃহৎ ফলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। যা মানব দেহের হাড়ের গঠন ও হাড় শক্তিশালীকরণে ভূমিকা পালন করে। এছাড়া রক্ত সংকোচন প্রক্রিয়া সমাধানেও ভূমিকা রাখে।
* কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই ভিটামিন বি৬।
* ছয় মাস বয়সের পর থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে কাঁঠালের রস খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা নিবারণ হয়। অন্যদিকে তার প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
* চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে প্রতিদিন ২০০ গ্রাম তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মহিলা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়। গর্ভবতী মহিলারা কাঁঠাল খেলে তার স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে এবং গর্ভস্থসন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিক হয়। দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

কারা কাঁঠাল এড়িয়ে চলবেন

কাঁঠাল কিন্তু সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত, অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিস বেড়ে আছে, তাঁরা কাঁঠাল এড়িয়ে চলবেন। যদি ডায়াবেটিস পেশেন্টের ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে থাকে, তাহলে কিন্তু দুই কোয়া পরিমাণ গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু প্রেগন্যান্ট উইম্যানরা কখনও কাঁঠাল বেশি পরিমাণে খাবেন না।