ঢাকাবুধবার , ১৪ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

ইতিহাসের সবথেকে বড় বিমান মহড়ায় যোগ দিয়েছে ২৫ ন্যাটো দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জুন ১৪, ২০২৩ ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ । ৫৯ জন
সংগৃহীত:ছবি

ইতিহাসের সবথেকে বড় বিমান মহড়া শুরু করেছে সামরিক জোট ন্যাটো। জার্মানির আকাশে ‘এয়ার ডিফেন্ডার ২৩’ নামের ওই মহড়ায় যোগ দিয়েছে ২৫ ন্যাটো দেশ। এছাড়া রয়েছে সুইডেন ও জাপানের মতো সহযোগী দেশও। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে রাশিয়ার। এখন আবার এই মহড়ার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

আল-জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে, চলমান এই মহড়াকে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ঐক্যের প্রদর্শনী হিসেবে প্রচার করছে ন্যাটো। সোমবার শুরু হওয়া ওই মহড়ায় ২৫০টিরও বেশি সামরিক বিমান অংশ নেয়। মার্কিন বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক এফ-৩৫ স্টিলথ কমব্যাট এয়ারক্রাফটসহ ১০০টি বিমান যোগ দিয়েছে মহড়ায়। ন্যাটোর সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান হচ্ছে এফ-৩৫। এছাড়া মহড়ায় ন্যাটো দেশগুলোর ১০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নিচ্ছেন।

এই মহড়ার নেতৃত্বে রয়েছে জার্মান বিমান বাহিনী। এই মহড়া চলবে ২৩শে জুন পর্যন্ত।

এই সময় জার্মানির আকাশে বিমান চলাচলের তিনটি এলাকা সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। ফলে বাণিজ্যিক বিমানগুলো ওই এলাকা ব্যবহার করতে পারবে না। ১৯৪৯ সালে ন্যাটো গঠনের পর এই মহড়াই হতে যাচ্ছে সামরিক জোটটির সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া। এর জন্য চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি।

মহড়ার একটি অংশ হচ্ছে এয়ারফিল্ড খালি করা। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, তা এই মহড়ায় অনুশীলন করা হবে। এছাড়া আকাশ থেকে স্থলে থাকা সেনাদের সহায়তা করা, শত্রুর ফাইটার জেটের সঙ্গে আকাশে যুদ্ধ করা, ফাইটার বোম্বার দিয়ে মাঝারি পাল্লার মিসাইল প্রতিহত করা ইত্যাদি মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে। শত্রুর সাবমেরিন বা জাহাজ প্রতিহত করার অনুশীলনও করবে সেনারা।

জার্মান লুফটওয়াফের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ সোমবার একটি টেলিভিশনকে বলেন, আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি পাঠাচ্ছি তা হল আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয় ক্রাইমিয়া অঞ্চল। তবে যে গণভোটের মাধ্যমে ক্রাইমিয়া রাশিয়ান ফেডারেশনে যোগ দেয় তাকে স্বীকৃতি দেয় না পশ্চিমারা। মূলত ক্রাইমিয়াকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করার পরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সেসময়েই এই আকাশ মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

গেরহার্টজ বলেন, এই মহড়ার কোনো বিমানকে রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের দিকে পাঠানো হবে না। আমরা একটি ‘প্রতিরক্ষামূলক জোট’ এবং এই মহড়াটি সেভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছে।