ঢাকাবুধবার , ৩০ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

আদালতের রায়েও আপাতত মুক্তি মিলছে না ইমরান খানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগস্ট ৩০, ২০২৩ ৪:০১ অপরাহ্ণ । ৫৬ জন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। অবশ্য গতকাল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাই কোর্টের রায়ে তার সমর্থকরা খুঁশি হলেও পরক্ষণে তা মিটে যায়। হাই কোর্ট রায় দিয়েছেন ইমরানের দণ্ড স্থগিত ও মুক্তির নির্দেশ। কিন্তু নতুন কৌশলে তাকে আটকে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা ও অন্য মামলায় রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। অবশ্য তার আইজীবীর অভিযোগ আগামী নির্বাচন থেকে বিরত রাখতেই নতুন মামলা ও অন্য মামলার রায় ঘোষণার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেওয়া তোশাখানা দুর্নীতি মামলার কারাদণ্ড গতকাল মঙ্গলবার স্থগিত করা হয়। এ রায় ইমরানের জন্য বড় একটি রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তবে দুর্নীতি মামলার দণ্ড স্থগিত হলেও স্বস্তিতে নেই ইমরান খান। কারণ গোপন তারবার্তা ফাঁসের গুরুতর অপরাধে এখন তাকে অ্যাটোক কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। আর এ মামলায় তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তার ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

গতকাল ইমরানের দুর্নীতি মামলার রায় স্থগিত ঘোষণা করে তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই সরকারি গোপন নথি বিশেষ আদালত অ্যাটোক কারাগারকে নির্দেশ দেয়— ইমরানকে যেন আটকে রাখা হয়। ওই নির্দেশনায় কারাগার কর্তৃপক্ষকে বিশেষ এ আদালত বলেন, ইমরানের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে মামলা চলমান। সেজন্য তাকে আটকে রাখতে হবে। এছাড়া আজ বুধবার তাকে আদালতে উপস্থানের নির্দেশও দেওয়া হয়।

ইমরানকে এখন যে গোপন তারবার্তা ফাঁসের মামলায় আটক আছেন সেটির সূত্রপাত হয়েছিল গত বছরের এপ্রিলে। সে মাসে তিনি অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান। ইমরানের অভিযোগ ছিল— তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন দুই মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা পাক দূতকে হুমকি দিয়েছিলেন, ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে না সরালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আইনজীবী তানিয়া বাজাই কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘যদি গোপন তারবার্তা ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হয় ইমরান খানের ১৪ বছর বা তারও বেশি সময়ের জেল হতে পারে। এই মামলাটি তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ইমরান খান সরকারি গোপন নথি আইন ভঙ্গ করেছেন এবং তারবার্তাটি জনসমাবেশে প্রকাশ্যে দেখিয়েছেন এবং জোরে জোরে পড়ে শুনিয়েছেন। যেটি কূটনৈতিক ও সরকার প্রধানের বিশেষ আলোচনা ছিল।

সূত্র: আল জাজিরা