ঢাকাবুধবার , ৩১ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দলের নেতা ও চিত্রজগতের ব্যক্তিদের দৌড়ঝাঁপ

অনলাইন ডেস্ক
মে ৩১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ । ৫৬ জন
সংগৃহীত ছবি

নির্বাচিত হয়ে সংসদে বসার সুযোগ পাবেন মাত্র মাস চারেক। এত কম সময়ের জন্য হলেও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, দলের নেতা ও চিত্রজগতের এক ডজনের বেশি ব্যক্তি দৌড়ঝাঁপ করছেন।

বর্তমান জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে। আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন একটি আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের লম্বা তালিকা আলোচনার সৃষ্টি করেছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক দুজন সভাপতি, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, একাধিক চিত্রনায়ক-নায়িকার নাম আলোচনায় এসেছে। এখন পর্যন্ত যাঁদের নাম আলোচনায় এসেছে, তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শাম্‌স পরশ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দুই সহসভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন ও কাদের খান।

এর বাইরে ২০১৪ সালে বিএনপিবিহীন ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনএফের আবুল কালাম আজাদও আগ্রহী। কেউ কেউ সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বি এম ইকবালের কথাও বলছেন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে নিয়েও আলোচনা আছে। এ ছাড়া কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধারেরা চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁরা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে সবুজ সংকেত পেলে নিজেদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করবেন—এমনটাই জানা গেছে।

চিত্রনায়ক আকবর হোসেন খান পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসন শূন্য হয়েছে। এখনো তফসিল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে শূন্য আসনে আগামী জুলাইয়ে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে  বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের ভোট বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপনির্বাচনের মতো হবে না—এটা নিশ্চিত। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে যেভাবে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে, সে রকমই হবে। সুতরাং যে কেউ চাইলে মনোনয়ন পেয়ে যাবেন, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। বিএনপি ভোটে অংশ না নিলেও কোনো একজন মোটামুটি পরিচিত স্বতন্ত্র দাঁড়িয়ে গেলে সরকারবিরোধী নেতিবাচক ভোট তাঁর বাক্সে চলে যাবে। নানামুখী চাপ (প্রেশার গ্রুপ) হয়তো থাকবে। কিন্তু ভালো প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে হবে।