ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

তরমুজের তুঘলকি শুরু

অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩ ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ । ১৮৯ জন
তরমুজ । ছবি : সংগৃহীত

বসন্তের শুরুতেই মুন্সিগঞ্জে বসেছে তরমুজের পসরা। বেড়েছে সরবরাহ। তবে পাইকারি হাটে বড় তরমুজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।  মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরের ধলেশ্বরী তীরের হাট। তরমুজ কিনতে ভোর থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখর এ হাট। বিশাল এ হাটজুড়ে বসন্তের শুরুতেই বসেছে গ্রীস্মকালীন পানি জাতীয় মৌসুমি ফলটির পসরা। তাই নিলাম ডাকে পাইকারি তরমুজ কিনতে ভিড় জমিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা।

সরবরাহ ভালো থাকায় পাইকারি হাটে বড় তরমুজ কেজিতে ৪০ টাকা ও ছোট তরমুজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি দামে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি তরমুজের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তরমুজের আগাম স্বাদ নিতে আসা ভোক্তারা।

ক্রেতারা জানান, এবার তরমুজের ফলন বেশি। তবে দাম অনেক বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। এতে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর দাবি তাদের।

আর বিক্রেতারা বলছেন, তরমুজের চাষিরা পরিপূর্ণভাবে সুবিধা পাচ্ছে না। সার ও অন্যান্য খরচ বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এতে দাম কিছুটা বেশি।

আগাম তরমুজ চাষ কৃষি বিভাগের একটি বড় সাফল্য উল্লেখ করে মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকতা রনি দাস বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের পার্থক্যের জন্য দায়ী মধ্যস্বত্বভোগীরা। এদের নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

আড়তদাররা জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন ধলেশ্বরী তীরের এই হাটে আসে প্রায় ২০ হাজার তরমুজ। আর বিক্রি হয় ২০ লাখ টাকারও বেশি।