পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব মূলত মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। শ্রদ্ধাও মুম্বাইয়ের মেয়ে। একটি কল সেন্টারে কাজ করার সময় ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয় দুজনের। দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, তিন বছর আগে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন আফতাব ও শ্রদ্ধা। এর পরই মুম্বাই ছেড়ে দিল্লি চলে আসেন। এক পর্যায়ে বিয়ের জন্য আফতাবকে চাপ দিতে শুরু করেন শ্রদ্ধা। এ নিয়ে রোজই চলত ঝামেলা।
জানা গেছে, যেই ঘরে খুন করে শ্রদ্ধার দেহ টুকরা টুকরা করেছিলেন, সেখানেই রোজ রাতে ঘুমাতেন আফতাব। রোজ রাতে ফ্রিজে রাখা শ্রদ্ধার কাটা মাথা দেখতেন। দেহের সব টুকরা ফেলে দেওয়ার পর ফ্রিজটি ধুয়েমুছেও রেখেছিলেন আফতাব। শ্রদ্ধার আগে আফতাবের আরো অনেক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলেও জানা গেছে।
দিল্লি পুলিশের দাবি, গুগল করে মানবদেহ টুকরা করে কাটা এবং রক্তের দাগ পরিষ্কারের পদ্ধতি খুঁজেছিলেন আফতাব। গতকাল সোমবার রাতে আফতাবের ‘গুগল করার পরিসংখ্যান’ও প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে শুধু ডেক্সটার নয়, লিভ-ইন সঙ্গী শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের আগে আফতাব একাধিক অপরাধমূলক সিনেমা ও ওয়েব সিরিজ দেখে পরিকল্পনা করেছিলেন বলে তদন্তকারী দলের সদস্যরা মনে করছেন। তাদেরই একজন জানিয়েছেন, এই চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি অপরাধমূলক সিনেমা ও ওয়েবসিরিজের ‘ছায়া’ দেখা যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে শ্রদ্ধার এক বন্ধু তার পরিবারকে জানান, আড়াই মাস ধরে শ্রদ্ধার কোনো খোঁজ মিলছে না। এমনকি তার মোবাইলও বন্ধ। এর পরই শ্রদ্ধার পরিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেন। কিন্তু এই আড়াই মাস কোনো পোস্ট দেননি তিনি। নভেম্বরে শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন ওয়ালকার মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হন। আফতাবের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের কথাও জানান। মুম্বাই পুলিশ শ্রদ্ধার ফোনের তথ্য খতিয়ে জানতে পারে, দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর দিল্লি পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং শনিবার ধরা পড়েন আফতাব।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা