বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ্ব শেখ এর ভাতিজা সুমনের বিরুদ্ধে বসতবাড়ী নির্মাণ কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়া শহরের সুত্রাপুর ঈদগাহ লেনের বাসিন্দা মোঃ মোখলেছার রহমান (স্বপন)।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার পৈত্রিক টিনশেট বাড়ি জরাজীর্ণ হওয়ায় ০২.৭৫ শতক সম্পত্তিতে বিল্ডিং বাড়ি করার জন্য পৌরসভা, হইতে ৫ম তলা বিল্ডিং এর নকশা অনুমোদন করি। স্বানীয় কমিশনারের অনুমতি ক্রমে ০৩.০৫-২০২৩ ইং তারিখে আমার পুরাতন টিনশেট বাড়ি ভাঙ্গিয়া ১৫-০৭-২০২৩ ইং তারিখে বেলা আনুমানিক ১১:০০ ঘটিকায় নতুন করিয়া বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করিলে (আলহাজ্ব এর ভাতিজা) সুমনের নির্দেশে আসামীরা আমার বাড়িতে আসিয়া নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করিয়া আমার নিয়োজিত মিস্ত্রিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাহির করিয়া দিয়ে আমার কাছে ১০,০০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। তারা সবাই যুবলীগের ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। উক্ত সময়ে আসামীদের রাজনৈতিক দাপটে ও ভয়ে আমি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখি। আমার বিবাহ যোয্যে দুই মেয়ে, দুই ছেলে নিয়ে দারে দারে ঘুরছি। স্থানীয় ভাবে গ্রাম্য সালিশে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু গ্রাম্য শালিস সে মানে না। গ্রাম্য সালিশে ১ শতক জায়গা দাবি করে কিন্তু তাহারা দলিল আজ পর্যন্ত দেখাতে পারেনি অথচ আমার ১ শতক জায়গা ইতিপূর্বে দখল করে সাভিসিং সেন্টার দিয়েছে। এরপর আমাদের পুরাতন বাড়ী অবশিষ্ট জায়গা ২.৭৫ শতক দখল করার চেষ্টা করিতেছে। এই নিয়ে প্রথমে সেনা ক্যাম্প এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং জেলা প্রশাসক থানা ও ফাঁড়ি এবং র্যাব অফিসে অভিযোগ দিয়েও সমস্যা সমাধান করতে পারিনি। আমার ছোট ভাই ইনসান আলী, মুদি খানার দোকান দখল করার চেষ্টা করিতেছে। এখন দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আমি আবার নির্মাণ কাজ ২য় বারের মত শুরু করিলে ইং ১৮-১১-২৪ তারিখে বেলা আনুমানিক ১২:০০ ঘটিকায় আলহাজ্ব বাহিনী সেকেন্ড কমান্ড মো: সুমন শেখ মোবাইল মারফতে আমাকে ডেকে নিয়ে এসে আসামীগন ১। মো: সুমন শেখ (৩৫) ২। মো: জাকির হোসেন (৪০) পিতা মৃত মো: ফেরদৌস আলম সহ অজ্ঞাত রতন, স্বপন, বাপ্পি মো: পাপ্পু, মো: সাব্বির, মে: সেলিম, পিতা-আনসার আলী, সাং-মালগ্রাম, বগুড়া সদর, বগুড়া সহ আরও অন্যান্য ৭/৮ ব্যক্তিবর্গ। আমাদের নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে পুনরায় আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জীবন নাশের হুমকি ধামকি দেয়। আসামীরা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে তাহাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আমাকে বিল্ডিং বাড়ি করতে দিবে না এবং আমি সেখানে নির্মাণ কাজ শুরু করলে আমার ছেলে এবং আমার ছোট ভাইকে খুন করার হুমকি ধামকি প্রদান করিতেছে। তফশিল সম্পত্তির বর্ণনা: বগুড়া সদর থানাধীন জেলা-বগুড়া, মৌজা-সুত্রাপুর, জেএল নং-৮২, খতিয়ান-৭৪২, ৩২৬, দাগ নং-১৮৯৮, ১৮৯৯ জমির পরিমান: ২.৭৫ শতক। আমি পারিবারিক ভাবে খুবই বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছি। এর পর আমার সমস্যা সমাধান না হলে এই জমির উপর আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আপনারা জাতির বিবেক। আপনাদের প্রচার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কাছে আমার ব্যাপারটি তুলে ধরার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি এবং সন্ত্রাসী সুমন শেখসহ আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।”