fgh
ঢাকাশনিবার , ২৭ জুলাই ২০২৪
  • অন্যান্য

পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ ভুক্তভোগীদের

অনলাইন ডেস্ক
জুলাই ২৭, ২০২৪ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ । ১১৫ জন

কোটা আন্দোলনে ঘিরে দেশব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় করা বিভিন্ন মামলায় সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী অনেকের দাবি, সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও আটকের পর টাকা চাওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে দেওয়া হচ্ছে মামলা।

ছয় মাসের শিশুকে নিয়ে আদালত পাড়ায় ঘুরছিলেন আলো আক্তার নামে এক নারী। তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী রনি পেশায় একজন পিকআপচালক। তিনি বাজার করতে বের হলে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। স্বামীকে ছাড়াতে পুলিশকে টাকাও দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ টাকা নিয়েও ছাড়েনি রনিকে।

রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিটাক রোড থেকে গত বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার হোন ভ্যানচালক মো. হুমায়ুন কবির মোল্লাকে (৪২)। স্বামীর জামিনের বিষয়ে আদালতে আসেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। তার অভিযোগ, হুমায়ুন কবির কারওয়ানবাজার মাছের আড়তে ভ্যানচালান। ২৫ জুলাই ভ্যান সারাতে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

ফাতেমা বেগম বলেন, আমরা দিন এনে দিন খায়। আমার স্বামী কী রাজনীতি করবেন? তার কী অপরাধ? কিন্তু পুলিশ আমাদের কোনো কথাই শুনলো না। কই অবস্থা জুস কোম্পানির কর্মচারী মো. হাসান, ড্রাইভার মো. আবুল কালামসহ অনেকের। তাদের পরিবারের অভিযোগ, সহিংসতায় জড়িত না থাকলেও তাদের ধরে এনে দেওয়া হচ্ছে মামলা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিওতে যাদের দেখা গেছে বা এলাকার লোকজন যাদের দেখেছে, তাদেরকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি। ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযানে নিরপরাধ মানুষ গ্রেপ্তার হওয়ার সুযোগ নেই। শুধুমাত্র যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বলেছেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় ২০৯টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৩৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।