ঢাকাসোমবার , ২২ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

সাত কলেজে বড় তিনটি সমস্যা

অনলাইন ডেস্ক
মে ২২, ২০২৩ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ । ৫৩ জন
সংগৃহীত ছবি

পরীক্ষার ব্যবস্থাপনায় আগের চেয়ে উন্নতি হলেও গুণগত মানে ঘাটতি। শিক্ষকসংকটে ক্লাস নিতে হিমশিম অবস্থা। শ্রেণিকক্ষ ও গবেষণাগারের সংকট।

  • ২০১৭ সালে সাত কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়।
  • সাত কলেজে শিক্ষার্থী দেড় লাখের বেশি। মোট শিক্ষক ১ হাজার ২২৭ জন।
  • স্নাতক-স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় ২৫টি বিষয়ে।
  • রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষক ক্লাস শেষে হন্তদন্ত হয়ে বিভাগীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে কার্যালয়ে গিয়ে তিনিসহ অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শিক্ষকস্বল্পতার কারণে তাঁদের প্রায় প্রতিদিনই চাপে থাকতে হয়।

    ৮ মে এই বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে । তাঁরা জানান, বিভাগে শিক্ষক আছেন চারজন। উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তরে ক্লাস, পরীক্ষা—সবই তাঁদের সামলাতে হয়। তাঁদের বাইরে একজন ‘অতিথি শিক্ষক’ আছেন।

    পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের এই কলেজ ছয় বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হয়। লক্ষ্য ছিল মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা অর্জনে অনেকটাই পিছিয়ে কলেজটি।

    দেশের অন্যতম পুরোনো ঢাকা কলেজে এখন সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষার্থী পড়েন। এ কলেজে শিক্ষক কিছুটা বেশি। তবু গড়ে ৭৮ শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক।

    কারণ হিসেবে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষকেরা বলছেন, শিক্ষকের পর্যাপ্ত সংখ্যা ও মানের ওপর গুণগত শিক্ষা অনেকাংশে নির্ভর করে। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে এখন শিক্ষক আছেন ৩৩ জন। এই বিভাগে স্নাতক শ্রেণিতে প্রতিবছর ভর্তির সুযোগ পান ১৫০ জন।

    অন্যদিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগে প্রতিবছর ভর্তি হন ১৭০ জন। এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতেও প্রতিবছর ভর্তি হন কয়েক শ শিক্ষার্থী।

    শিক্ষকসংকট শুধু সোহরাওয়ার্দী কলেজেই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মোট সাতটি কলেজের অবস্থা কমবেশি একই। বাকি কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়। এর আগে কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ভুক্ত ছিল।

    ছয় বছরে সাত কলেজের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল, সেগুলো নেওয়া হয়নি বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য কুদ্দুস শিকদার।