ঢাকামঙ্গলবার , ১০ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্দিকে হত্যার লাইভ হবে: হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
অক্টোবর ১০, ২০২৩ ৭:২৯ অপরাহ্ণ । ৬০ জন

হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিক বাড়িতে ইসরাইলি বোমা হামলার জন্য একজন ইসরায়েলি বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেবে হামাস এবং এ মৃত্যুদণ্ড সম্প্রচারও করা হবে।

ইসরাইলের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় খাবার ও বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য ঢোকা বন্ধের হুমকির পর এবার পালটা হুমকি দিয়েছে হামাসও। এ উপত্যকায় ইসরাইল সতর্কতা ছাড়াই যদি বেসামরিক লোকদের বাড়িঘরে কোনো হামলা চালায় তাহলে তাদের হাতে থাকা বন্দিদের হত্যা করা হবে বলে গাজার শাসক দলটি ঘোষণা দিয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র আবু উবাইদা বলেছেন, সতর্কতা ছাড়াই বেসামরিক বাড়িতে প্রতি ইসরাইলি বোমা হামলার জন্য একজন ইসরাইলি বন্দিকে মৃত্যুদণ্ড দেবে হামাস এবং এ মৃত্যুদণ্ড সম্প্রচারও করা হবে।

এ হুমকির বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জানিয়েছেন, আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের সময় হামাসের হাতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্দি হয়ে আছেন।

হামাস ও ইসরাইলের এ সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। বহু মানুষ বন্দি অবস্থায় আছেন, গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অনেকে। ইসরাইলি টিভি চ্যানেলগুলো বলছে, হামাসের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়েছে। কমপক্ষে ২ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজনকে বন্দি করা হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ৬৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩ হাজার ৭২৬ জন আহত হয়েছেন।

গাজা উপত্যকার শাসক দল হামাস গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালালে প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়। এরপর নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে পালটা বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইলও। দুই পক্ষই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায়।

এরই মধ্যে ইসরাইল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তারা ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে। একপর্যায়ে সোমবার গাজায় পানি, খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধের হুমকি দেয় ইসরাইল।

ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা উপত্যকার সীমান্তের বড় অংশই ইসরাইলের সঙ্গে, বাকিটা মিসরের সঙ্গে। এর দৈর্ঘ্য ৪১ কিলোমিটার এবং প্রশস্ত ১০ কিলোমিটার। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করছে গাজায়।

২০০৭ সালে হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি বাহিনীর কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ইসরাইল এবং মিসর গাজার ওপর বিভিন্ন স্তরের অবরোধ আরোপ করে রেখেছে।