ঢাকাসোমবার , ১৮ মার্চ ২০২৪
  • অন্যান্য

যুক্তরাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পরিচালকের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক:
মার্চ ১৮, ২০২৪ ৪:১৭ অপরাহ্ণ । ১৮ জন

গত শনিবার রাতে পূর্ব লন্ডনের একটি রাস্তা পার হচ্ছিলেন বাংলাদেশি পরিচালক জি এম ফুরুক। এমন সময় হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার ঘণ্টা ধরে তাঁর অপারেশন চলে। পরে রাখা হয়েছিল পর্যবেক্ষণে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল যুক্তরাজ্য সময় ভোর পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন অভিনেতা সাইফ খান।
সাইফ আরও জানান, জি এম ফুরুক যুক্তরাজ্যে যাওয়ার আগে বাংলাদেশে নাটক নির্মাণ করতেন। একই সঙ্গে তিনি প্রযোজক ও সম্পাদনার কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটে। প্রায় এক যুগ আগে তিনি পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান। সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তিনি তিন সন্তান ও স্ত্রী রেখে গিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে তিনি কন্যাসন্তানের জনক হন।
যুক্তরাজ্যে থাকলেও বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন ফুরুক। তিনি টাকা জমিয়ে দুটি সিনেমা বানিয়েছিলেন। কিন্তু সিনেমাগুলো দেখে যেতে পারলেন না। একটি সিনেমা যুক্তরাজ্য থেকে সেন্সর সনদ পেয়েছিল। সিনেমাটির শিগগির মুক্তির কথা ছিল।
সাইফ বলেন, ‘সিনেমা নিয়ে আমাদের নিয়মিত কথা হতো। তাঁর একটি সিনেমায় ফেরদৌস ভাই অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির শুটিং হয় লন্ডনে। আরেকটি সিনেমায় আমি অভিনয় করেছি। সিলেটে শুটিং হয়েছে। আমার বিপরীতে প্রবাসী নায়িকা ছিলেন। সিনেমার নাম “প্রবাসীর দেশ”। সিনেমাপ্রেমী একজন মানুষ ছিলেন ফুরুক ভাই। আগামী মাসে আরও একটি সিনেমা বানানোর জন্য আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল। তাঁর মৃত্যুর খবরটা আমাদের জন্য অনেক শোকের।’
জি এম ফুরুক সময় পেলেই যুক্তরাজ্যে বসেই নাটক নির্মাণ করতেন। সেগুলো ইউটিউবে প্রচার হতো। তাঁর নির্মিত ‘দেশ-বিদেশ’ নাটকের একাধিক সিকুয়েল নির্মিত হয়েছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া ‘বহুরূপী’, ‘স্বপ্ন ডাকাত’, ‘পীরজাদা’, ‘পরিণতি’সহ একাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন। বাঙালিদের যুক্তরাজ্যে মানিয়ে নেওয়ার গল্পগুলোই পর্দায় উঠে আসত। তাঁর নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ, স্বাধীন খসরুসহ আরও অনেকে।