ঢাকাসোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩
  • অন্যান্য

মান্নার স্ত্রী শেলী আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন

বিনোদন ডেস্ক
আগস্ট ৭, ২০২৩ ১২:৩৬ অপরাহ্ণ । ৬৩ জন

ঢাকাই সিনেমার দাপুটে অভিনেতা এস এম আসলাম তালুকদার মান্না চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। মান্নার মৃত্যুতে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করে মান্নার পরিবার।

বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। ফলে মান্নার মৃত্যুর ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি মামলাটি।

রবিবার (৬ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টে সংবাদ সম্মেলনে মান্নার স্ত্রী শেলী বলেন, ২০০৮ সালে মান্না আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তখনই আমরা একটা মামলা করেছিলাম হাসপাতালের বিরুদ্ধে। মামলাটি হলো অবহেলাজনিত। সেই সময় মামলাটির একটা মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছিল। সবার মধ্যে একটা প্রত্যাশা ছিল মামলাটি বিষয়ে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে, কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে আমরা তার পরিবার কোনো রেজাল্ট পাচ্ছি না।

আমরা পরিবার চাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন শেলী। যে চিকিৎসকদের অবহেলায় চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয় তারা হলেন ডা. এনায়েত হোসেন শেখ, ডা. জহির উদ্দিন মাহমুদ ইলিয়াস, ডা. মোমেনুজ্জামান, ডা. খন্দকার মাহবুব সোহাইল, ডা. ফাতেমা ও ডা. মাইনুল ইসলাম মজুমদার। এদিকে বাদীপক্ষের আইনজীবীর দাবি, ডিসেম্বরে মামলার চূড়ান্ত রায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় নায়ক মান্নার। বুকে ব্যথা নিয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।

সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মান্নার মৃত্যুতে কয়েকজন চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে ২০০৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন তার স্ত্রী শেলী কাদেরের ভাই রেজা কাদের। মামলার আরজিতে বলা হয়, বুকে ব্যথা অনুভব করায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টায় মান্না হাসপাতালে ভর্তি হন।

কিন্তু চিকিৎসকরা হাসপাতালে আসেন সকাল ৯টায়। চিকিৎসা দেরিতে শুরু হওয়ায় ‘অ্যাকিউট মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনে’ আক্রান্ত হন তিনি। এই রোগের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার ৯০ মিনিটের মধ্যে রোগীকে নির্দিষ্ট ইনজেকশন দিতে হয়। কিন্তু মান্নাকে ইনজেকশন দেওয়া হয় আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর। হৃদরোগ বিভাগের ওই ছয় চিকিৎসকের এমন অবহেলায় মান্নার মৃত্যু হয়। ওই বছর ১৩ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান সিদ্দিক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাই ২০০৯ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালত ছয় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ তাদের আট সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। ওই বছরের ১৬ মার্চ চিকিৎসকরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত ৫০ হাজার টাকা বন্ডে তাদের জামিন দেন।