ঢাকাবুধবার , ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • অন্যান্য

নির্বাচনের ১৫ দিন পরও মাঠে পুলিশ রাখতে চায় ইসি

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ১৮, ২০২৩ ১২:১৩ অপরাহ্ণ । ৭৩ জন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করছে কমিশন।

এর আগের জাতীয় নির্বাচনে দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও এক বা দুদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত থেকেছেন। তবে এবার আগামী নির্বাচনে ভোটগ্রহণপরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে সক্রিয় ভূমিকায় রাখার পরিকল্পনা করছে ইসি।

এ বিষয়ে ইসি বলছে, নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কা থেকেই এমন পরিকল্পনা। ইসির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী নভেম্বর মাস থেকে কী কী করণীয় এবং সেগুলো কোন কোন সময়ে করা হবে, তার একটি রূপরেখা বা চেকলিস্ট করছে ইসি।

সেই রূপরেখায় প্রয়োজনে ভোটের পর ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন রাখার কথা বলা হয়েছে। সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনী নিয়োজিত থাকে।

ইসি সূত্র জানায়, এবারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মূল দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচনের আগের দুদিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দুদিন। তবে নির্বাচনি এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে নির্বাচনের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় যাতে তারা দায়িত্ব পালন করে, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আগামী ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করার কথা বলে আসছে ইসি।

জাতীয় নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে, তা চূড়ান্ত করেনি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তবে তফসিল ঘোষণার কত দিনের মধ্যে কোন কাজটি করা হবে, তা ঠিক করা হয়েছে। ইসির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের যারা প্রশিক্ষণ দেবেন, সেসব প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিভিন্ন সংগঠন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের উদ্বেগের কথা জানাচ্ছে। আইনে নির্বাচনের পরবর্তী ১৫ দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রাখার সুযোগ আছে। নির্বাচনের সময় পরিস্থিতি বুঝে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।