ঢাকারবিবার , ১৬ জুলাই ২০২৩
  • অন্যান্য

ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ অভিযুক্তদের ১ বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার

ইবি প্রতিনিধি:
জুলাই ১৬, ২০২৩ ১:০৬ অপরাহ্ণ । ৬৬ জন
ছাত্রলীগ নেত্রীসহ অভিযুক্ত ৫জন

 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের ১ বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা আইনের ৮ ধারা মোতাবেক শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনের ২০২ নং কক্ষে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একইসাথে মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত রেজওয়ান সিদ্দিকি কাব্য ও তাঁর তিন সহযোগী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।
বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রক্তন সহ সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
 এর আগে গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে মৌখিক বক্তব্য দিতে ক্যাম্পাসে আসেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী। কমিটির কাছে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দেওয়ার পরও কোন বক্তব্য থাকলে তা জানতে এই বক্তব্য গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানার জন্য ফুলপরিকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, আমি আগে থেকে ধরেই নিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমি ন্যায়বিচার পাবোনা। তবে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে চিঠি হাতে পায় তারপর মন্তব্য করবো।
উল্লেখ্য, গত ১১ ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কর্তৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। সব কমিটিই ঘটনার সত্যতা পায়। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় হাইকোর্টের নির্দেশে পাঁচ ছাত্রীকেই সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া হল প্রশাসন হল থেকে বহিষ্কার এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদের দল থেকেও বহিষ্কার করে।