ঢাকারবিবার , ১৮ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

ইবিতে তারুণ্য’র সভাপতি মারুফ, সম্পাদক প্রত্যয় নির্বাচিত হয়েছেন

ইবি প্রতিনিধি :
জুন ১৮, ২০২৩ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ । ৬৬ জন
মারুফ হোসেন ও রিফাত মাশরাফি

 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন তারুণ্য’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বায়োমেডিকেল এন্ড জেনেটিক  ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো: মারুফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির ১১৬ নং কক্ষে দিনব্যাপী তারুণ্য’র “১৪ তম বার্ষিক সাধারণ সভা, নির্বাচন ও সুবাসিত সদস্য সংবর্ধনা ২০২৩” অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও ৫ম সভাপতি মেহেদী হাসান সাকিবকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দুরন্ত পথিক ও অগ্রপথিক সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়। আগামী ১ বছর তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে ২১০ জন ভোটারদের মধ্য থেকে ভোটাররা প্রত্যক্ষভাবে ভোট প্রদান করে ৬২  জন প্রার্থীর মধ্য থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বেছে নেন।  দুপুর ৩ টা থেকে ১.৩০ ঘণ্টাব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে গণনা ও ফলাফল পর্যালোচনার পর আগামী এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।
তারুণ্য’র সদস্য শাহ মোহাম্মদ নাঈম এবং রিয়া বসাক এর সঞ্চালনায়, তারুণ্য’র  সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম এর শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারুণ্য’র সভাপতি  আশিফা ইসরাত জুঁই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড  ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং  বিভাগের অধ্যাপক  ড. মাহবুবর রহমান  ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক  ড.আব্দুল গফুর গাজী ।  অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন তারুণ্যের  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেহেদী হাসান নাদিম, ৩য় সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রিপণ, সাবেক সহ-সভাপতি ও  ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ। এদিন সুবাসিত সদস্য সংবর্ধনা উপলক্ষে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট প্রদানের মাধ্যমে ৪৯  জন সুবাসিত সদস্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ‘অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত তারুণ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে তারুণ্যর শক্তিকে কাজে লাগানো, তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী মনোভাবসম্পন্ন করে গড়ে তোলা, নেতৃত্ব দক্ষতা তৈরি, সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, শিল্প ও সাংস্কৃতিক মুল্যবোধ গঠনে বইপাঠ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় অংশগ্রহণ, বনায়ন, রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ ও অসহায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা সহ নানাবিধ সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে তারুণ্য।