ঢাকারবিবার , ১৯ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

আরাভ খানের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয়ও নেই বললেন বেনজীর

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১৯, ২০২৩ ১২:২২ অপরাহ্ণ । ৬৪ জন
ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার পলাতক আসামি আরাভ খানকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। গতকাল বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে  দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ তথ্য জানান। পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামি আরাভ খানের দুবাইতে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের তথ্য সামনে আসার পর নানা গুঞ্জন উঠে তার প্রশ্রয়দাতা নিয়ে। কার আশ্রয়ে আরাভ খুনের মামলার আসামি হয়েও দেশ ছেড়েছেন। অল্প দিনে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা কীভাবে গড়েছেন সেই প্রশ্ন সামনে আসে। সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার এই ব্যবসার পেছনে আছেন বলে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন। এমন অবস্থায় বিদায়ী আইজিপি ড. বেনজীর  আহমেদ তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে কাউকে আমি চিনি না। আমার সঙ্গে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নাই।  আমি আমার ল’ এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি।  কখনোই সখ্যতা নয়।

আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

দুবাইয়ে ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামের প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আরাভ খান। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তার বাড়ি। পুলিশ বলছে, এই আরাভ খান ২০১৮ সালে ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি। মামলায় জড়ানোর পর থেকে তিনি পলাতক। গুঞ্জন আছে পুলিশের সাবেক এক শীর্ষ কর্মকর্তার সহযোগিতায় আরাভ পালিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যান। তারপর সে দেশের পাসপোর্ট তৈরি করে চলে যান দুবাইয়ে। ওই দেশে যাওয়ার পর রাতারাতি তার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫ তলায় ফ্ল্যাটসহ আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাট, সুইমিংপুল, বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক হিসাবে কোটি কোটি টাকা রয়েছে। দীর্ঘদিন আড়ালে থাকার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ। তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ আরও একঝাঁক তারকার উপস্থিতিতে তার শোরুম উদ্বোধন করা হবে-এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন। কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে নেয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসেন গোয়েন্দারা।