ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে

অনলাইন ডেস্ক
জুন ১৩, ২০২৩ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ । ৬২ জন
ছবি : সংগৃহীত

এক মাস পর আবার

অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

সোমবার মধ্যরাতে তাকে গুলশানের বাসা থেকে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছানোর পর কিছু পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে সপ্তম তলায় কেবিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন; যিনি খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান।

এর আগে দলীয় চেয়ারপারসনের অসুস্থতার খবরে রাত ১২টায় সেখানে যান ডা. অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদও যান সেই বাসায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে বিএনপি নেতারা জানান।

রাত ১টা ২৩ মিনিটে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের কালো রঙের গাড়িতে করে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন বিএনপি চেয়ারপারসন। ওই গাড়িতে শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও ছিলেন।

খালেদার এখনকার অসুস্থতার ধরন কী, সে বিষয়ে বিএনপি নেতারা কিছু বলেননি।

সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। পাঁচ দিন পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন।

২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।

গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিতসকরা।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাই কোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর।

এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য।

ওই বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে তার বাড়িতে রয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে পরিবারের আবেদনে।