ঢাকাশনিবার , ৮ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ বিশ্ববিদ্যালয় ডাকছে সাদিয়াকে

অনলাইন ডেস্ক
জুন ৮, ২০২৪ ৩:৫৮ অপরাহ্ণ । ৩৫ জন

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী সাদিয়া ইয়াসমিন শ্রাবণী। ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরই মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এতে আশাতীত সাফল্যও পেয়েছেন। ১৮টি আবেদন করে আমেরিকার ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। শুধু তাই নয়; বিশ্ব দরবারে বগুড়াকে নতুন করে পরিচয় করে দিয়েছেন সাদিয়া।

জানা গেছে, সাদিয়ার শৈশব ও বেড়ে ওঠা বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলায়। কাহালু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন ২০২০ সালে। এরপর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে তিনি উচ্চমাধ্যমিকে পাস করেন ২০২২ সালে। আমেরিকার বিখ্যাত লিবারেল আর্টস কলেজের টপ প্রতিষ্ঠানগুলো এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব মিলিয়ে দেশটির ১৩টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে-স্ক্রিপস ক্লারমন্ট কলেজ, বার্ড কলেজ, ওবারলিন কলেজ, ফ্র্যাঙ্কলিন এবং মার্শাল কলেজ, হোবার্ট এবং উইলিয়ামস স্মিথ কলেজ, ফারমান বিশ্ববিদ্যালয়, টেম্পল বিশ্ববিদ্যালয়, বেলয়েট কলেজ, সুইট ব্রেইর কলেজ, অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইলিনয় ওয়েসলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিয়ন কলেজ ও ফ্লোরিডা সাউদার্ন কলেজ। পরবর্তীতে সাদিয়া তার পছন্দের ৪ কোটি টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপ নিয়ে ফুলব্রাইড স্কলার হিসেবে ভর্তি হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত স্ক্রিপস ক্লারমন্ট কলেজে। সেখানেই তিনি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে পড়াশোনা করবেন।

শিক্ষার্থী সাদিয়া ইয়াসমিন শ্রাবণী জানান, ‘এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যেই আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। সবমিলিয়ে ১৮টি আবেদন করেছিলাম। সেখান থেকে আমেরিকার ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফুল নিড মিটসহ পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আমেরিকার স্ক্রিপস ক্লারমন্ট কলেজে ফুলরাইড হিসেবে ভর্তি হয়েছি। যে স্কলারশিপটা আমি পেয়েছি তার পরিমাণ হলো প্রতিবছর প্রায় ৯০ হাজার ডলার

। গবেষণার জন্য আমার পছন্দ পাবলিক হেলথ। আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম শেষে আমেরিকায় পিএইচডি করতে চাই চিকিৎসা বিজ্ঞানে। আমার আগ্রহ হেলথ সায়েন্সে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া। পরবর্তীতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর গবেষণা করতে চাই।’ বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রামিশা রহমান জানান, শিক্ষার্থী হিসেবে সাদিয়া ইয়াসমিন শ্রাবণী আমাদের অহংকার। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি পড়ছি এটা ভাবতেও ভালো লাগছে।

বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুব্রত কুমার সাহা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সাদিয়া শুধু ভালো শিক্ষার্থীই নয়; কো-কারিকুলামে বিশেষ পারদর্শী। সে সরকারি আজিজুল হক কলেজের শেখ রাসেল বিজ্ঞান ক্লাব, শেখ রাসেল দেয়ালিকার অন্যতম সদস্য। এ ছাড়া সে কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপনায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সাদিয়ার মতো আরও শিক্ষার্থী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।