ঢাকাবুধবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

বিদ্যুৎ সংকটে দক্ষিণ আফ্রিকা

ইনটারন্যাশনাল ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ৭:০৩ পূর্বাহ্ণ । ১৭৬ জন
বিদ্যুৎ সংকটে দক্ষিণ অফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্যুৎ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নাগরিকরা। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইসকম’ এর দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংকট সমাধানে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।  প্রতিদিন প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপটাউনের বাসিন্দাদের। মোমবাতি জ্বালিয়ে কিংবা অন্ধকারেই কাটাতে হচ্ছে বেশিরভাগ সময়। এতে ভোগান্তির মাত্রা পৌঁছেছে অসহনীয় পর্যায়ে। একই পরিস্থিতি দেশটির অন্যান্য শহরেও।

বিদ্যুতের অভাবে কমে এসেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা। এদিকে বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে এবছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। বিদ্যুৎ ঘাটতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণের কথা জানিয়েছে কেপটাউন শহর কর্তৃপক্ষ। শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আবাসিক ভবনে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। উৎপাদিত বাড়তি বিদ্যুৎ কিনে নেবেন তারা। তবে এসব সৌর বিদ্যুতের প্যানেল স্থাপনের ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় তা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

কেপটাউন শহর বিদ্যুৎ নির্বাহী পরিচালক কাদরি নাসিয়েপ বলেন, বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবাসিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমাদের সাহায্য করতে আগ্রহী। আমরাও তাদের প্রণোদনা দিয়ে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এরপর তাদের কাছ থেকে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমরা কিনে নেবো।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা প্রশাসনের দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার কারণে ঋণে জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘ইসকম’। কমেছে প্রতিষ্ঠনটির উৎপাদনক্ষমতা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটির মোট বিদ্যুতের চাহিদার মাত্র ৫৬ দশমিক ৬ ভাগ পূরণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে শিগগিরিই দক্ষিণ আফ্রিকার চলমান বিদ্যুৎ সংকটের কোনো উন্নতি হচ্ছে না।