ঢাকাশনিবার , ৮ জুন ২০২৪
  • অন্যান্য

নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ স্বপ্ন পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব

অনলাইন ডেস্ক
জুন ৮, ২০২৪ ৭:২৪ অপরাহ্ণ । ৩৪ জন

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কেন্দ্র (সিরডাপ) এর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচন করা। বিভিন্ন গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পল্লীর জনগণের আর্থিক উন্নয়ন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে ৪৫ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু, আমার মনে হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণে খুব বেশি সফলতা অর্জন করতে পারেনি। সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতাদের স্বপ্নপূরণে খুব বেশি অবদানও রাখতে পারেনি। তাই, নবনির্বাচিত সভাপতি হিসেবে সিরডাপ প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্বসূরীদের স্বপ্ন পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।

শনিবার (৮ জুন) সকালে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) কর্তৃক আয়োজিত স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে চ্যালেঞ্জ ও নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার শুরুতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির হিসেবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

গত ৪-৬ জুন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সিরডাপের ২৪তম সভায় ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি’কে পরর্বতী দুই বছরের জন্য সংস্থাটির গভর্নিং কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। একইসাথে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ফিজি’র পল্লী ও সমুদ্র উন্নয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী সাকিয়াসি রাইসেভু দিতোকা এবং মহাপরিচালক নির্বাচিত হন সদস্য রাষ্ট্র ভারতের ড. পি. চন্দ্র শেখর।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণের বিকল্প নেই। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালীকরণ বিষয়ে কারও দ্বিমতেরও সুযোগ নেই। কিন্তু মতভেদটা হচ্ছে মূলত আইন সংশোধন নিয়ে। আইন মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সংশোধন হয়। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও তাই হয়েছে। সময়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ রেখে আইন সংশোধন হচ্ছে। আর, মতপার্থক্য যা হচ্ছে তা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ।

তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মতামত প্রদানের অধিকার থাকবেই। এখানে যেমন ভাল কাজের প্রশংসা করার সুযোগ থাকে, মন্দ কাজের সমালোচনা করারও সুযোগ থাকে। মাঝে মাঝে আমার ভাল কাজেরও সমালোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে এই সমালোচনা আমাকে আরও উদ্যমী হতে সাহায্য করে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক ব্যবহারের সমালোচনা যেমন হয়েছিল, প্রতীক ব্যবহার না করার ক্ষেত্রেও মতভেদ আছে। সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-০৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগে. জে. (অবঃ) শাখাওয়াত হোসেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের মুখ্য পরিচালক ড. আব্দুল আলীম৷ সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এন্ড ডেমোক্রেসি এর চেয়ারম্যান একরামুল হক সায়েম।