ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজৌরির বনাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে আগুনের সঠিক অবস্থান এবং গতিবিধি অনুমান করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গরমের কারণে নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন মানকোট জঙ্গলে প্রথম আগুন লাগে। তবে সেই আগুন গতকাল আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে। কারণ, এই সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে সেখানে প্রচুর সংখ্যক ল্যান্ডমাইন বিছানো ছিল। আগুনের কারণে সেই ল্যান্ডমাইনগুলোতে ক্রমাগত বিস্ফোরণ ঘটছে। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আগুন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে গত তিন দিন ধরে উধমপুর জেলার ঘোর্ডি ব্লকের দয়া ধারের জঙ্গলে আগুন জ্বলছে। ক্রমাগত অগ্নিনির্বাপণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বর্তমানে এই আগুন আরও তীব্র হয়েছে। দয়া ধর বন এলাকায় ময়ূরের আবাসস্থল যা এই আগুনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। গাছপালা পুড়ে যাওয়া শুধুমাত্র ময়ূরই নয়, অন্যান্য বন্যপ্রাণী এবং সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্রকেও প্রভাবিত করেছে।
ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেই এ দাবানল যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাসিন্দাদের জন্য। আগুন নেভাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা। মার্চের মাঝামাঝি থেকে জুন মাসে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ভারতে সাধারণত বনাঞ্চলে দাবানল বেড়ে যায়। চলতি মাসে মেনধর উপজেলার নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বনাঞ্চলে এটি চতুর্থ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তান অধিকৃত এলাকার বনাঞ্চলে আগুন ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে এসেছে। পাকিস্তানি জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য ল্যান্ডমাইন অকার্যকর করতে এ ধরনের আগুন লাগিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে।