ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

৫৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করে ভাইরাল কালু কসাই

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ৩০, ২০২৩ ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ । ১১০ জন
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। রমজান মাসের শুরু থেকেই শহরের বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭২০ টাকার নিচে কেনা যাচ্ছে না। গরুর মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও পাকিস্তানি মুরগির দাম। এত দাম দিয়ে মাংস কিনে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শহরে যখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য মাংস কেনা অসাধ্য হয়ে পড়েছে, ঠিক তখনই ক্রেতাদের সামর্থ্যের কথা বিবেচনা করে ৫৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করে সাড়া ফেলেছেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের কদমতলী সিএনজি স্ট্যান্ড তিনমাথা মোড়ের মাংস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ওরফে কালু কসাই (৬০)।

প্রায় এক বছর ধরে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করছেন তিনি।

কম দামে গরুর মাংস বিক্রির এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ‘কালু কসাই’ এখন ভাইরাল। নজরুল ইসলামের বাড়ি গাবতলীর নশিপুর গ্রামে।

কম দামে মাংস বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে ক্রেতা নজরুলের দোকানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। সকাল থেকে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গরুর মাংস কিনছেন। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন তিনি। শুক্রবার ছুটির দিনে ক্রেতাদের ভিড় বেশি থাকে। এদিন ৮ থেকে ১০টি গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করেন তিনি।

বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গাবতলীর কদমতলী তিনমাথা সিএনজি স্ট্যান্ড মোড়। বগুড়া-বাগবাড়ি সড়কে এই কদমতলী তিনমাথা মোড়েই নজরুল ইসলামের গোশত ঘর দোকান। বগুড়া শহরের চেয়ে দামে কম পেয়ে তাঁর দোকানে মাংস কেনার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন ক্রেতারা।

গাবতলী, ধুনট—এমনকি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা থেকেও সাতসকালে নজরুলের দোকানে মাংস কেনার জন্য ছুটছেন। ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন আর কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।