ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

সিলেটের মাংসের বাজারে যেন আগুন, বাড়েই চলেছে মাংসের দাম

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ২৩, ২০২৩ ১:৩২ অপরাহ্ণ । ৫৯ জন
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে মাংসের বাজারে দাম বাড়ছেই।  রমজান মাসকে সামনে রেখে আরেক দফা দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রতি কেজি মাংসতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। আগামীকাল পহেলা রমজান। বাজার মনিটরিং না থাকায় ক্রেতারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। গতকাল থেকে সিলেটের মাংসের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে ক্রেতাদের। কিন্তু দামের কারণে অনেকেই মাংস কিনতে পারছেন না। বিক্রেতাদের কাছে আধা কেজি কিংবা ২৫০ গ্রামের মাংসও পাওয়া যায় না। ফলে অনেকেই মাংস না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সিলেটের লালবাজার।

পোল্ট্রি ও দেশি মোরগের পাইকারি আড়ত। নগরের বেশির ভাগ মানুষ এ বাজার থেকেই পোল্ট্রি কিংবা দেশি মোরগ কিনে থাকেন। ক্রেতারা জানিয়েছেন- শবেবরাতের পর থেকে পোল্ট্রি কেজি প্রতি ২৩৫ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। গতকাল সকাল থেকে পোল্ট্রির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ২৫৫ টাকায়। প্রায় ২০ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে কেজি প্রতি। পাইকারি আড়ত লালবাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারগুলোতে আবার ২৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লালবাজারে পোল্ট্রি নিতে এসেছিলেন জেলরোডের বাসিন্দা সম্রাট হোসেন। তিনি জানিয়েছেন- মাংসের বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গত এক মাসের ব্যবধানে পোল্ট্রির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। যে যেভাবে পারছেন দাম বেশি নিচ্ছেন। এতে করে ক্রেতারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে জানান তিনি। তবে লালবাজার পোল্ট্রি ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক কোষাধ্যক্ষ সেলিম আহমদ জানিয়েছেন- পোল্ট্রির দাম বাড়তির দিকে। বাজারে সরবরাহ কম। এর বাইরে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে- পর্যাপ্ত দেশি মোরগ বাজারে রয়েছে। লালবাজারে এক কেজি পরিমাণের দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে। অথচ এক মাস আগে এই মোরগের দাম ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। আর আধা কেজি পরিমাণের দেশি মোরগ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। এর বাইরে লেয়ার মোরগ প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬শ’ টাকা দরে। মুরগির বাজারের মতো অবস্থা গরু ও খাসির মাংসের দোকানে।
কাজীটুলা গরুর মাংস বিক্রির পরিচিত এলাকা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন- কাজীটুলায় গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। তারা বাধ্য হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে এই দামে বিক্রি করছেন। এক সপ্তাহ আগেও তারা ৭২০ টাকা দরে বিক্রি করতেন। এখন প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন থেকে পূর্বের দাম রাখার জন্য বলা হলেও তারা সেটি মানতে পারছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে- হাটের গরুর দাম আগের চেয়ে বেশি। কিনতেই টাকা বেশি লাগে। বিক্রি করে পোষায় না। খাসির মাংস বিক্রির জন্য নির্ধারিত দাম ৯৫০ টাকা। কিন্তু গতকাল বিকালে তারা বিক্রি করছিলেন ১১০০ টাকা কেজিতে। প্রায় ১৫০ টাকা দর বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কেনার দাম নির্ণয় করে পড়তা ফেলে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। কাজীটুলার শাহীন মাংসের দোকানের  স্বত্বাধিকারী হানিফ আহমদ জানিয়েছেন- আমরা ৭২০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করতে পারছি না। এতে কেনা দামই উঠে না। এ কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি। প্রশাসন থেকে ৭২০ টাকায় বিক্রির জন্য বলা হলেও তারা মানতে পারছেন না বলে জানান।

খাসির বেলায় তাদের ১১০০ টাকা প্রতি কেজির দাম নিতে হচ্ছে। ৯৫০ টাকায় বিক্রি করে তাদের পোষায় না বলে জানান তিনি। বলেন- গরু কিংবা খাসি বিক্রি করে তারা লোকসান দিতে পারেন না। এ কারণে পড়তা পুষিয়ে তারা বিক্রি করে থাকেন। তবে ক্রেতারা জানিয়েছেন- প্রতি বছর রমজানের আগের দিন মাংস বিক্রেতারা বেশি দামেই গরু, খাসি ও মুরগি বিক্রি করে থাকেন। বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে কি এমন হচ্ছে।