ঢাকাসোমবার , ২২ মে ২০২৩
  • অন্যান্য

বগুড়ায় ফতেহ আলী সেতু পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার
মে ২২, ২০২৩ ৩:২৯ অপরাহ্ণ । ৭৪ জন
সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু ফতেহ আলী সেতু পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। 

বগুড়া শহরের করতোয়া নদীর ওপর ফতেহ আলী সেতু পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১০টায় বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এ কাজের উদ্বোধন করেন।

এর আগে ২০১৮ সালে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার প্রায় ৫ বছর পর এর পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। দীর্ঘ ৫৩ বছর আগে নির্মিত এই সেতু পুনঃনির্মাণ কাজ শুরুর আগে গত ১৬ মে স্থানীয় সংসদ সদস্য নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেন। সোমবার সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, দপ্তর সম্পাদক আল রাজি জুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল হাসান ববি, সদস্য গৌতম কুমার দাস।

 

৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য আর ১২ দশমিক ৩ মিটার চওড়া এই সেতুর দুপাশে আড়াই মিটার করে ফুটপাত থাকবে। দৃষ্টিনন্দন এবং আধুনিক স্থাপোত্যর ছোঁয়া রয়েছে এই সেতুর নকশায়। এ সেতুটি পুনঃনির্মাণ হলে বগুড়া শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। ফতেহ আলী সেতুটি বগুড়াবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। বগুড়ার তিনটি উপজেলার মানুষ এই সেতু দিয়ে পারাপার হবে। ফলে ঐ তিন উপজেলার কৃষি পণ্য সহজে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।

বগুড়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জানান, ২০২১ সালে সেতুটি নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে সেতুটির নকশা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটির নকশা ও অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেতুটির পুনঃনির্মাণ কাজ শেষ করা হবে। সড়ক বিভাগ থেকে সেতুটির নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে করতোয়া নদীর ওপর ৬৮ মিটার দীর্ঘ ফতেহ আলী সেতু নির্মাণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সে সময় সেতুটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ২০ লাখ টাকা। নির্মাণের নয় বছর পর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেতুটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্বাধীনতার পর সেটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।