ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৮ জুন ২০২৩
  • অন্যান্য

তিন আ.লীগ নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
জুন ৮, ২০২৩ ৪:৪১ অপরাহ্ণ । ৫৬ জন
ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১৪ দলের সমাবেশে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহের কথা বলেন দলটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। এর পরই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন আ.লীগ নেতারা।  সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, বিগত সময়ে জাতিসংঘ যেভাবে তারানকো সাহেবকে পাঠিয়েছিলেন। আমাদের দুই দলকে নিয়ে একসঙ্গে বসে মিটিং করেছিলেন। আজকেও প্রয়োজনে এ ধরনের দলাদলি না করে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক।

আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। কোথায় ফারাক? সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনে বাধা কোথায়? কীভাবে সেটি নিরসন করা যায়। এটি আলোচনার মধ্য দিয়েই সুরাহা হতে পারে। অন্য কোনো পথে নয়।

তিনি বলেছিলেন, আসুন, গণতন্ত্রকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা আপনাদের সঙ্গে বসতে রাজি আছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, আলোচনার দ্বার খোলা। তিনি বলেছেন, যে কোনোভাবে তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে তিনি প্রস্তুত।

এ বক্তব্য নাকচ করেছেন কাদের

আমুর এই বক্তব্য রাখার পর দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজকে নালিশের রাজনীতি করছে।  কী পেয়েছে আমরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। কিছুই পাইনি, এখন তারা আবার জাতিসংঘের মধ্যেস্থতা চায়, যা বাস্তবতা বিবর্জিত কথা।

আমুর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি দলের কথা নয়, তার ব্যক্তিগত কথা। এর বাইরে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নিয়ে সরকার, আওয়ামী লীগ— এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও কোনো আলোচনা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

ক্ষমতাসীন দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ভাষ্য, আমুর ওই বক্তব্য তাদের দলের অবস্থান নয়। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন, আমির হোসেন আমু আমাদের দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্ত্যবটি দিয়েছেন সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য।

ওই বক্তব্যের পর আমুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাগজে বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে তিনি (আমু) ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক, এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি দল, সরকার— এমনকি ১৪ দল কোথাও এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় কী লাভ হবে, সেই প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে অতীতে আলোচনার অভিজ্ঞতায় বলা যায়, এই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচন প্রতিহত করতে চায়, যারা নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে কী হবে, সেটি হচ্ছে বড় প্রশ্ন।

আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলেন, সেটিও মনে করিয়ে দেন ড. হাছান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাড়ির দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। আধা ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরজা খোলেনি। সেই দলের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসেছেন এবং আলোচনায় বসার ইচ্ছা ব্যক্তও করেছিলেন। কিন্তু কী লাভ হয়েছিল?