মানুষ ও হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য তৈরী রাস্তার ইট বালু অপসারন করে রাস্তা কেটে খালে পরিনত করা হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় চলাচল কারি ১৫টি পরিবারসহ সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। এমন দৃশ্য দেখাগেছে বগুড়ার শিবগন্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচাই মধ্যপাড়া গ্রামে।
স্থনীয়দের অভিয়োগ,অনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ই আগস্ট এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকা বাসি স্থানীয় প্রশাসরে নিকট অভিয়োগ করেন। সেই সাথে মানববন্ধন করে এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
নাটমরিচাই মধ্যপাড়া গ্রামে বাসিন্দা মোঃ মুক্তার হোসেন। তিনি চাকুরি করেন একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ। তার অভিয়োগ তাদের বসতবাড়িতে যাতায়াতে প্রধান রাস্তা খনন করে গভীর খাল তৈরি করেন তার প্রতিবেশি চাচা আনিছুর রহমান। এর ফলে গ্রামবাসীর যাতায়াতের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। তিনিসহ তার প্রতিবেশীরা বাধা দিতে গেলে আনিছুর রহমানের লোকজন তাদেরকে ভয় ভীতি ও হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করেন। জীবনের ভয়ে তিনি আর কিছু বলেননি।
অপরদিকে একই এলাকার বাসিন্দা হাবিুর রহমান হাবিব জানান,তিনি ওই এলাকায় ১৯৯৫ সালে বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। বাড়িতে যাতায়াতে জন্য ওই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্ত রাস্তা কেটে খাল করায় তার চরম কষ্ট হচ্ছে। ছেলে মেয়েকে কোলে করে স্কুলে পাঠাতে হয়। এলাকার বাসিন্দ ভ্যান চালক শাহ আলম বলেন, রাস্তা বন্দ হওয়ার ফলে তার আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে ভ্যান বের করতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের লোকে উপস্থিতিতে এই রাস্তায় মাটি কেটে ইট বিছানো হয়। অথচ গায়ের জোওে আনিছার তার ছেলে ওই রাস্তা কেটে ফেলেন। তার দাবি,হাসিনার সরকারের পতনের দিন ওই রাস্তা কেটে ফেলাহয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাইনুর রহমান বলেন, আনিছার রহমানের বাড়ির পূর্ব পাশ দিয়ে বড় রাস্তা ছিলো।ওই রাস্তায় গ্রাম বাসি যাতায়াত করতেন। কিন্তু আনিছুর বাড়ি করার সময় ওই রাস্তা তার বাড়ির ভিতর নিয়ে নেন। পরিবর্তে বাড়ির পশ্চিম পাশের তার জমি দিয়ে রাস্তা দেন। এখন সেই রাস্তা কেটে ফেলেছেন। ফলে ওই এলাকার কৃষক জমিতে যেতে পারছে না।
তবে অভিযুক্ত আনিছুর রহমানের দাবি তার জমির উপর দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। তাই তিনি রাস্ত কেটে ফেলেছেন। তার বাড়ির পাশের পুকুরের পাড় দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতো। সেই রাস্তার পরিবর্তে সকলের সুবিধার জন্য এই রাস্তা দিয়েছিলাম। কিন্ত পাঁচ ফুট রাস্তা দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন,মহিদুল চেয়ারম্যান যখন রাস্তা করে তখনি বলেছিলাম আপনার ক্ষমতা যে দিন যাবে সেই দিন রাস্তা কেটে ফেলবো। ঠিক তাই করেছি। পারলে যেন ঠেকায়!
এবিষয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বরাবরে অভিযোগ করেছেন মুক্তার হোসেন। বিষয়টি নিয়ে শিবগন্জের সহকারী কমিশনার তাসনিমুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এই রকম ঘটনা আরো কয়েকটির খবর পেয়েছেন তিনি। দুই এক দিনের মধ্যে ওই রাস্তা পরিদর্শনে যাবেন তিনি। রাস্তা ঠিক করার পর যদি আবারো রাস্তা কাটে তালে অভিযুক্তদের বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি দ্রুত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী। তা না হলে এই ঘটনায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।