ঢাকাবুধবার , ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  • অন্যান্য

মোটরবাইকের নতুন গতি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা আসছে

অনলাইন ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩ ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ । ১১০ জন
সংগৃহীত ছবি

মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার খবর প্রায় হরহামেশায় শোনা যায়। বিশেষ করে ঈদের সময় এ দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়। তাইতো এবার মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিদির্ষ্ট নীতিমালা নিয়ে আসছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এরইমধ্যে পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের কমিটি ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩’ এর খসড়া তৈরি করেছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, রাজধানীতে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। ঈদ ও উৎসবের সময় মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

নতুন নীতিমালায় যা থাকছে

খসড়া নীতিমালার বিষিয়ে আনিসুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খসড়া নীতিমালায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ নয়, গতি কমানোর দিকে জোর দেয়া হয়েছে। মোটরসাইকেলে বয়স্ক ও শিশুকে যাত্রী না করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিএসটিআই অনুমোদিত উন্নতমানের হেলমেটসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম চালককে পরার কথা বলা হয়েছে।

পরিবহন বিভাগের যুগ্ম সচিব বলেন, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। খসড়া চূড়ান্ত করতে অংশীজনদের সঙ্গে সভা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর তা কার্যকর হবে। সড়ক পরিবহন আইনে এবং বিধিমালায় গাড়ির গতি নির্ধারণ করা নেই।

 সড়ক পরিবহন বিধিমালায়  যা  আছে 

সড়ক পরিবহন বিধিমালার ১২৬ ধারায় বলা হয়েছে, সড়কভেদে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গতি নির্ধারণ করবে। স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্তৃপক্ষও গতি নির্ধারণ করতে পারে। মহাসড়কে সর্বোচ্চ নির্ধারিত গতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। রাজধানীর ক্ষেত্রে সড়কভেদে তা ৩০ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

কীভাবে গতি নির্ধারণ করা হবে এ বিষয়ে আনিসুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, গতি নির্ধারণের জন্য পুলিশের কাছে একটি যন্ত্র থাকবে। সেই যন্ত্রের মাধ্যমেই তারা এটি নির্ধারণ করবে। আর কেউ যদি এই গতিসীমা লংঘন করে তাহলে সড়ক পরিবহন আইনে তার শাস্তিও নির্ধারণ করা আছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনসহ বেসরকারি সংস্থাগুলোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির প্রায় ৪০ শতাংশের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। সারাদেশে নিবন্ধিত ৫৬ লাখ ২৮ হাজার যানবাহনের মধ্যে ৪০ লাখ ৩৯ হাজার মোটরসাইকেল। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই নিবন্ধিত ১৯ লাখ ৬৬ হাজার যানবাহনের ১০ লাখ ২৩ হাজারই মোটরসাইকেল।

এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ২১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২০৫ জন নিহত হয়েছে এবং ১১৪ জন আহত হয়েছে।