বগুড়ার শেরপুরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আফাজ উদ্দিন লিটন (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৯আগস্ট) দুপুরে উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর মধ্যপাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আফাজ উদ্দিন লিটন ওই গ্রামের জহুরুল ইসলাম খোকা মন্ডলের ছেলে। নিহতের স্ত্রী চায়না বেগম জানান, সোমবার (২৮আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তার স্বামী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর রাতে বাড়ি ফেরেননি। পরদিন মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে গ্রামের পরিত্যক্ত ওই ঘরের মধ্যে তার স্বামীকে রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী। একপর্যায়ে দেবর শামীম হোসেনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে খবরটি জানতে পারি। এরইমধ্যে স্থানীয় লোকজন শেরপুর থানায় সংবাদ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো কিছুই বলতে পারেননি তিনি। চায়না বেগম আরো জানান, তার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাত করা হয়েছে। এরপর মাথায় প্রচণ্ড আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘যারাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকুক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা হোক।’ এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানান, নিহত ব্যক্তিটি একজন মাদকাসক্ত। পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সম্ভবত মাদক ব্যবসার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরধরেই আফাজ উদ্দিন লিটনকে হত্যা করা হয়েছে বলে সূত্রটি দাবি করেন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, ‘মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গলায় সামান্য কাটা জখমের চিহৃও রয়েছে। সম্ভবত মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এরপরও হত্যার রহস্য উদঘাটনে নানা দিক সামনে রেখে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন।’ পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।