সংগঠন ও সরকারবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কৃত শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের দোসরন কতিপয় সাংবাদিক বগুড়া প্রেসক্লাবের সীল ও প্যাড ব্যবহার করে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকার প্রেক্ষিতে বগুড়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচান ও সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃদ্বয় বলেন, প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য আহবায়ক কমিটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কুৎসা ছড়ানোর পাশাপাশি প্রেসক্লাবের প্যাড ও সীল ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে দরখাস্ত দিয়ে আসছিলেন। এসব কারনে গত ২২ আগষ্ট’২৪ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির জরুরী সভায় চিহ্নিত করে ১২ জন সদস্যকে প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
এমতাবস্থায় গত ২৩ আগস্ট রাত ৯ টায় প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সদস্য ও সাবেক সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়নের নেতৃত্বে কয়েকজন আওয়ামীলীগপন্থী সাংবাদিক বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে যান। সেখানে বগুড়া প্রেসক্লাবের প্যাড ব্যবহার করে আমজাদ হোসেন মিন্টু নিজেকে বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক পরিচয়ে এবং স্বাক্ষর করে জেলা বিএনপির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক বরাবর বগুড়া প্রেসক্লাবের বর্তমান আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে প্রেসক্লাব দখলের মাধ্যমে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তাদের এধরনের কর্মকান্ডে বগুড়া প্রেসক্লাবসহ এর সদস্যদের সম্মানহানী হচ্ছে।
আমরা আশংকা করছি যে, উল্লেখিত ব্যক্তিগন বগুড়া প্রেসক্লাবের প্যাড ও সীল ও ব্যাংকের চেক বহি ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস থেকে অবৈধ সুবিধা আদায়ের পাশাপাশি প্রেসক্লাবের নামে ব্যাংকের হিসাব নম্বরে জমানো টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করতে পারে। আমরা বহিস্কৃত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের এহেন প্রেসক্লাব বিরোধী কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রেসক্লাবের প্যাড ও সীল ব্যবহার করে এহেন অপতৎপরতা বন্ধ করা না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
