ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ মার্চ ২০২৩
  • অন্যান্য

প্লাস্টিক বা কাগজের কাপে চা খাচ্ছেন ? ভাবুন তো আপনার জন্য নিরাপদ কিনা

অনলাইন ডেস্ক
মার্চ ১৪, ২০২৩ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ । ৭৮ জন
ছবি: সংগৃহীত

চা এখন আপ্যায়নের একটি প্রধান মাধ্যম। কোন কিছু না খাইয়ে এক কাপ চা খাইয়ে এই পর্ব চাইলে শেষ করতে পারেন। হয়তো আপনি এর বাইরে অচেনা পরিবেশে, পথে, রেল স্টেশনে, টং দোকানে চা পান করেন। কিসে খাচ্ছেন চা একটু খেয়াল করবেন কি? এখন ওয়ান টাইম কাপের প্রচলন হয়েছে। কাগজের বা প্লাস্টিকের ছোট ছোট কাপে খাচ্ছেন চা আর নিরাপদ বোধ করছেন। না মোটেই এটা নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন শ্বাসকষ্ট, অটিজম, স্তন ক্যান্সারের মত অসুখ হতে পারে যদি নিয়মিত ভাবে প্লাস্টিকের কাপে চা খান। চায়ের দোকানে সাধারণত চায়ের কাপ বা কাঁচের গ্লাসই ব্যবহার করা হয়। কাঁচের গ্লাসে চা খাওয়ার একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। এখনও অনেক পুরনো দোকান কিংবা কেবিনে এই কাঁচের গ্লাস ব্যবহার করা হয়। আবার নতুন ফ্যাসন ওয়ান টাইম গ্লাস। কাঁচের গ্লাস ধুয়ে মুছে ব্যবহার করার অসুবিধের জন্যই কাগজ কিংবা প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করা হয় অনেক দোকানেই। এছাড়াও কাঁচের গ্লাস বা কাপ কোনও রকমে ভেঙে গেলে অনেক ক্ষতি। প্লাস্টিক বা কাগজের কাপের বিশেষ ঝক্কি নেই। যেখানে খুশি নিয়ে যাওয়া যায়। শুধু খাওয়ার পর ফেলে দিলেই হবে। আর দামও বেশি নয়। তাই প্লাস্টিক কাপের ব্যবহার বাড়ছে। তবে এই কাগজ বা প্লাস্টিক শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাগজের কাপে থাকে হাইড্রোফোবিক ফিল্ম নামে এক ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক। যাতে গরম চা ঢাললেই সেই প্লাস্টিকের কণা কয়েক মিনিটের মধ্যেই মিশে যায় চায়ে। যা একরকমের বিষ। যে কারণে এই কাপে চা খাওয়া ঠিক নয়। আর এই কাপের ব্যবহার এত বেশি বেড়েছে যে যা রীতিমতো উদ্বেগের। গরম চা প্লাস্টিক কিংবা কাগজের কাপে ঢাললেই সেখান থেকে ক্যান্সারের আশঙ্কা থেকে যায়। আমাদের দেশে প্রতি বছরই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ওয়ান টাইম চায়ের কাপ মাইক্রোপ্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব মেডিসিনের মুখ্য গবেষকরা তেমনটাই জানিয়েছেন। এর মধ্যে থাকে টক্সিক পদার্থ বিসফেনল। যা লিভার ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয় এই বিসফেনল। প্লাস্টিক আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বলা যায় রোগ জীবাণুর আকড় এই প্লাস্টিক। তাই আজ থেকেই একেবারে বাদ দিন প্লাস্টিকের কাপ। দোকানীর গ্লাস বা কাপেই খান বাড়তি সতর্কতা হিসেবে গরম পানিতে কাপটি ধুয়ে নিতে বলতে পারেন। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।