৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে;
এবং যেহেতু এ কার্যক্রম স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’ প্রণয়ন এবং উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল অনুমোদন করা হয়েছে;
এবং যেহেতু উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়ালের অনুচ্ছেদ-৫(ঘ) অনুযায়ী নির্বাচিত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে একটি এর মাধ্যমে যুক্ত থাকবে;
এবং যেহেতু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক উপবৃত্তি কার্যক্রমের জন্য উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে
এবং যেহেতু উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/অধ্যক্ষ (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে) অথবা ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির সভাপতি (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে) এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উপবৃত্তি নীতিমালা ও উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়ালে বর্ণিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সরকারও নিম্নবর্ণিত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদানে সম্মত হলেন
ধারা ১-০১: অন্য কোন চুক্তি অথবা আইনে যাই থাকুক না কেন এ চুক্তিতে নিম্নে বর্ণিত শব্দসমূহের অর্থ নিম্নরুপে সঙ্গায়িত হবে
উপবৃত্তি নীতিমালা বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’-কে বুঝাবে (পরিশিষ্ট-ক)।
(খ) উপবৃত্তি কার্যক্রম বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’-এর আওতায় গৃহীত কার্যক্রম-কে বুঝাবে।(গ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল বলতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদিত ‘উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল’-কে বুঝাবে; অতঃপর ম্যানুয়েল হিসাবে অভিহিত হবে (পরিশিষ্ট-খ)
(৫) ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কমিটি বলতে উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েলের অনুচ্ছেদ-৯ এ বর্ণিত কমিটি’কে বুঝাবে। (চ) যোগ্য শিক্ষার্থী হলো সে সকল শিক্ষার্থী, উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-৭ এ বর্ণিত উপবৃত্তি বিতরণ ও বই ক্রয়ে সহায়তা
প্রাপ্তির সাধারণ শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে অনুচ্ছেদ-৬ এ বর্ণিত উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা দ্বারা নির্ধারিত যোগ্য শিক্ষার্থী। (ছ) ‘সেবা’ এবং ‘সহায়তা’ বলতে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যক্রমের নীতিমালা ও ম্যানুয়েল অনুযায়ী ২য় পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবা এবং সহায়তাকে বুঝাবে।
খ) প্রয়োজনে যেকোন সময় যোগ্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও সঠিকতা যাচাই বাছাই ও পুনঃনিরীক্ষণ করতে পারবে।
কার্যক্রমভুক্ত সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা প্রদান করবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রদান করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (ঙ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/অধ্যক্ষ/ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা-কমিটি কে কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বার্থে যেকোন আদেশ/নির্দেশ/উপদেশ প্রদান করবে।
(চ) সরকার ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে এই চুক্তির আওতায় ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে পরিচালন ব্যয় বাবদ কোন অর্থ প্রদান করবে না
২য় পক্ষ অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যসহ সকল শিক্ষক ও অভিভাবক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে এবং
(গ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-১০ অনুসারে উপবৃত্তি প্রার্থী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ ও ভ্যালিডেশন প্রক্রিয়ায় সকল কার্যক্রম কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর হতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে। (ঘ) শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রসমূহ অনলাইনে সঠিকভাবে পূরণের পর অনলাইনেই সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ
করবে।
(ঙ) শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক/পার্বিক পরীক্ষার পূর্বেই অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ এর সমন্বয়ে ন্যূনতম ২টি সভা আহ্বান করবে এবং উপবৃত্তি প্রাপ্তি/অব্যাহত রাখার যোগ্যতাসমূহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক কে বুঝিয়ে বলবে।
(চ) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এ কার্যক্রমের আওতায় আয়োজিত কর্মশালা/প্রশিক্ষণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির
সদস্য ও শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করবেন। (ছ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল, বিবাহ, কোটা সম্পর্কিত তথ্য সঠিক ও সুবিন্যস্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ
১) শিক্ষার্থী ভর্তি রেজিস্টার ২) শিক্ষার্থী উপস্থিতি রেজিস্টার ৩) শিক্ষার্থী ট্রান্সফার রেজিস্টার ৪) শিক্ষার্থীর বিভিন্ন পার্বিক পরীক্ষার উত্তরপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ৪) শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল রেজিস্টার।
(ঞ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-৫(ক) এ বর্ণিত কারিকুলামসমূহের শিক্ষার্থীগণ উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে।
(ট) প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও নবায়ন, বর্ণিত কারিকুলামের কোর্স সমূহের (ট্রেড/টেকনোলজি) সংযোজনের অনুমোদন ও নবায়ন করবে।
(ঠ) সকল উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।
(ড) শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে নীতিমালার মাধ্যমে গঠিত কমিটি সম্পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা সম্পূর্ণভাবে কমিটি তথা প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তাবে।
ধারা-৩-০১: এই চুক্তি উভয়পক্ষের স্বাক্ষরের তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে। প্রথম পক্ষের নোটিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক ধারা-২ এ বর্ণিত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে প্রতি বছর তা নবায়ন করা যাবে।
ধারা-৩-০২: যদি ১ম পক্ষ কর্তৃক ২য় পক্ষের আর্থিক অনিয়ম ও শর্তাদির বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয় তবে তা সংশোধনের জন্য নোটিশের মাধ্যমে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে ১ (এক) মাস সময় দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও যদি ২য় পক্ষ অনিয়ম সংশোধন ও শর্তাদি প্রতিপালনে ব্যর্থ হয় তবে নির্ধারিত ১ মাস সময় শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করতে পারবে অথবা সমস্ত অনিয়ম সংশোধনের এবং প্রযোজ্য শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সতর্ক করে আরো ২ মাস সময় দিতে পারবে।
যেহেতু বিগত ০৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে;
এবং যেহেতু এ কার্যক্রম স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’ প্রণয়ন এবং উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল অনুমোদন করা হয়েছে;
এবং যেহেতু উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়ালের অনুচ্ছেদ-৫(ঘ) অনুযায়ী নির্বাচিত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে একটি চধৎঃরপরঢ়ধঃরড়হ অমৎববসবহঃ এর মাধ্যমে যুক্ত থাকবে;
এবং যেহেতু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক উপবৃত্তি কার্যক্রমের জন্য উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হয়েছে;
এবং যেহেতু উল্লিখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/অধ্যক্ষ (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে) অথবা ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির সভাপতি (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে) এই কার্যক্রমের মাধ্যমে উপবৃত্তি নীতিমালা ও উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়ালে বর্ণিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সরকারও নিম্নবর্ণিত শর্তাদি
(ক) উপবৃত্তি নীতিমালা বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’-কে বুঝাবে (পরিশিষ্ট-ক)।
(খ) উপবৃত্তি কার্যক্রম বলতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ ও শিক্ষা উপকরণ ক্রয় সহায়তা নীতিমালা-২০২০’-এর আওতায় গৃহীত কার্যক্রম-কে বুঝাবে।
(গ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল বলতে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদিত ‘উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল’-কে বুঝাবে; অতঃপর ম্যানুয়েল হিসাবে অভিহিত হবে (পরিশিষ্ট-খ)।
(ঘ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে এ উপবৃত্তি কার্যক্রমভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ইনস্টিটিউট কে বুঝাবে।
(৫) ছাত্র-ছাত্রী নির্বাচন কমিটি বলতে উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েলের অনুচ্ছেদ-৯ এ বর্ণিত কমিটি’কে বুঝাবে। (চ) যোগ্য শিক্ষার্থী হলো সে সকল শিক্ষার্থী, উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-৭ এ বর্ণিত উপবৃত্তি বিতরণ ও বই ক্রয়ে সহায়তা
প্রাপ্তির সাধারণ শর্তাবলী পূরণ সাপেক্ষে অনুচ্ছেদ-৬ এ বর্ণিত উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা দ্বারা নির্ধারিত যোগ্য শিক্ষার্থী। (ছ) ‘সেবা’ এবং ‘সহায়তা’ বলতে এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে কার্যক্রমের নীতিমালা ও ম্যানুয়েল অনুযায়ী ২য় পক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সেবা এবং সহায়তাকে বুঝাবে।
(ঘ) ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য প্রদান করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (ঙ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক/সুপারিনটেনডেন্ট/অধ্যক্ষ/ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা-কমিটি কে কার্যক্রম বাস্তবায়নের স্বার্থে যেকোন আদেশ/নির্দেশ/উপদেশ প্রদান করবে।
(চ) সরকার ভিন্ন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে এই চুক্তির আওতায় ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে পরিচালন ব্যয় বাবদ কোন অর্থ প্রদান করবে না।
২য় পক্ষ অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যসহ সকল শিক্ষক ও অভিভাবক এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে এবং
(ক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীর আবেদনপত্র (ঝঅঋ) নির্ভুলভাবে পূরণে সহায়তা করবে।
(খ) উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর আবেদনপত্রে (ঝঅঋ) ভুল তথ্য প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ই দায়ী থাকবেন।
(গ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-১০ অনুসারে উপবৃত্তি প্রার্থী শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ ও ভ্যালিডেশন প্রক্রিয়ায় সকল কার্যক্রম কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর হতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পন্ন করবে। (ঘ) শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রসমূহ অনলাইনে সঠিকভাবে পূরণের পর অনলাইনেই সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ে প্রেরণ
(ঙ) শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক/পার্বিক পরীক্ষার পূর্বেই অভিভাবকবৃন্দ ও শিক্ষকবৃন্দ এর সমন্বয়ে ন্যূনতম ২টি সভা আহ্বান করবে এবং উপবৃত্তি প্রাপ্তি/অব্যাহত রাখার যোগ্যতাসমূহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক কে বুঝিয়ে বলবে।
(চ) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এ কার্যক্রমের আওতায় আয়োজিত কর্মশালা/প্রশিক্ষণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা/পরিচালনা কমিটির
সদস্য ও শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করবেন। (ছ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল, বিবাহ, কোটা সম্পর্কিত তথ্য সঠিক ও সুবিন্যস্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণ
১) শিক্ষার্থী ভর্তি রেজিস্টার ২) শিক্ষার্থী উপস্থিতি রেজিস্টার ৩) শিক্ষার্থী ট্রান্সফার রেজিস্টার ৪) শিক্ষার্থীর বিভিন্ন পার্বিক পরীক্ষার উত্তরপত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ৪) শিক্ষার্থীর বিভিন্ন বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল রেজিস্টার।
(ঞ) উপবৃত্তি কার্যক্রম ম্যানুয়েল এর অনুচ্ছেদ-৫(ক) এ বর্ণিত কারিকুলামসমূহের শিক্ষার্থীগণ উপবৃত্তির জন্য বিবেচিত হবে।
(ট) প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি ও নবায়ন, বর্ণিত কারিকুলামের কোর্স সমূহের (ট্রেড/টেকনোলজি) সংযোজনের অনুমোদন ও নবায়ন করবে।
(ঠ) সকল উপকারভোগী শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।
(ড) শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে নীতিমালার মাধ্যমে গঠিত কমিটি সম্পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে তা সম্পূর্ণভাবে কমিটি তথা প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তাবে।
ধারা-৩-০১: এই চুক্তি উভয়পক্ষের স্বাক্ষরের তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে। প্রথম পক্ষের নোটিশের মাধ্যমে দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক ধারা-২ এ বর্ণিত শর্তাদি পালন সাপেক্ষে প্রতি বছর তা নবায়ন করা যাবে।
ধারা-৩-০২: যদি ১ম পক্ষ কর্তৃক ২য় পক্ষের আর্থিক অনিয়ম ও শর্তাদির বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয় তবে তা সংশোধনের জন্য নোটিশের মাধ্যমে ১ম পক্ষ ২য় পক্ষকে ১ (এক) মাস সময় দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও যদি ২য় পক্ষ অনিয়ম সংশোধন ও শর্তাদি প্রতিপালনে ব্যর্থ হয় তবে নির্ধারিত ১ মাস সময় শেষ হওয়ার পরদিন থেকেই প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা প্রত্যাহার করতে পারবে অথবা সমস্ত অনিয়ম সংশোধনের এবং প্রযোজ্য শর্তাদি যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সতর্ক করে আরো ২ মাস সময় দিতে পারবে।