নরসিংদীতে শাহিন মিয়া নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে আদালতের সামনে থেকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। পরে মুক্তিপণের টাকা আদায়ের পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে নরসিংদী আদালতের ৩নং গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে শাহিন মিয়ার। রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহর চেম্বার থেকে বের হন শাহিন মিয়া। পরে নরসিংদী আদালতের ৩নং গেটের সামনে পৌঁছলে তাকেসহ একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে রাহীমকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দুইটি সিএনজির মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে।
এ সময় তাদের মারধর করার সময় সন্ত্রাসীরা বারবার প্রতিপক্ষ হাবিব মিয়া ও মিটল মিয়ার কথা বলছিল। তাদের দাবি ছিল, তাকে হত্যা করার জন্য ১ লাখ টাকার চুক্তি করেছে প্রতিপক্ষরা। এখন বাঁচতে চাইলে তাদের দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। প্রাণভয়ে ৭১ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পরে তাদের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নরসিংদী জজ আদালতের আইনজীবী আসাদ উল্লাহ বলেন, আইনি সেবা নিতে শাহীন মিয়া আমার চেম্বারে এসেছিলেন। পরে ফেরার পথে তাকে জিম্মি করে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাকে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে টাকা পেয়ে ছেড়ে দেয়। পরে তিনি বাহির হয়ে জিজ্ঞাসা করলে লোকজন জানান এটা ব্যাংক কলোনি। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত মিটল মিয়া বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি যদি অপহরণ করতাম তাহলে অপহরণকারীরা কি আমার নাম বলত। আমার স্ত্রী ইউনিয়নের প্যানেল মেয়র। আমাদের মধ্যে রাজনীতির কারণে পক্ষ-বিপক্ষ আছে কিন্তু কোনো বিরোধ নেই। আমি চাই তদন্তসাপেক্ষে প্রশাসন যেন প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনায় আলোকবালীর আবির এবং মুরাদনগর গ্রামের সুজন নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম বলেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।